স্পর্শের কি দায়, দেখিলেই হরিদাস।
ছিণ্ডে সর্ব-জীবের অনাদি কর্মপাশ ॥
গ্রন্থকার সর্বশাস্ত্রের সারোদ্ধার করিয়া বলিতেছেন,—বৈষ্ণবকে দর্শন করিলে দর্শনকারীর সকল সৌভাগ্যের উদয় হয়। জীব অনাদি বাসনা-বশে কর্ম-রজ্জু-গ্রন্থিতে আবদ্ধ আছে। পরম মুক্ত হরিদাসকে দেখিলে নিজের ভোগ-পিপাসা বিদূরিত হইয়া সকল অনর্থ হইতে তাহারা মুক্ত হন। যাঁহাকে দেখিলে এরূপ হয়, তাঁহার স্পর্শের দ্বারা তদপেক্ষা অধিক মঙ্গলের বিষয় শাস্ত্র তারস্বরে গান করেন। “গঙ্গার পরশ হইলে পশ্চাতে পাবন। দর্শনে পবিত্র কর এই তোমার গুণ॥’’ (নরোত্তম ঠাকুর), “আপন্নঃ সংসৃতিং ঘোরাং যন্নাম বিবশো গৃণন্ । ততঃ সদ্যো বিমুচ্যেত যদ্বিভেতি স্বয়ং ভয়ম্॥’’ (—ভাঃ ১।১।১৪), “যেষাং সংস্মরণাৎ পুংসাং সদ্যঃ শুধ্যন্তি বৈ গৃহাঃ। কিং পুনদর্শনস্পর্শ-পাদশৌচাসনাদিভিঃ । সান্নিধ্যাৎ তে মহাযোগিন্ পাতকানি মহান্ত্যপি। সদ্যো নশ্যন্তি বৈ পুংসাং বিষ্ণোরিব সুরেতরাঃ ॥’’ (—ভাঃ ১/১৯/৩৩-৩৪), ‘ন হ্যস্ময়ানি তীর্থানি ন দেবা মৃচ্ছিলাময়াঃ । তে পুনন্ত্যুরুকালেন দর্শনাদেব সাধবঃ ॥’’ ( ভাঃ ১০/৪৮/৩০)।