বৈষ্ণবে জাতিবুদ্ধিতে অধোগতি-লাভ—
যে পাপিষ্ঠ বৈষ্ণবের জাতিবুদ্ধি করে।
জন্ম জন্ম অধম যোনিতে ডুবি’ মরে ॥
আপাত-দর্শনে বৈষ্ণবকে জাতি কুল-মর্যাদা রহিত, নির্ধন প্রভৃতি বলিয়া অগ্রাহ্য করিলে অতিশয় পাপাসক্তি বৃদ্ধি হয়। তাহার ফলে আত্মা কলুষিত হইয়া নীচ যোনিতে জন্মলাভ করে। “শূদ্রং বা ভগবদ্ভক্তং নিষাদং শ্বপচং তথা বীক্ষ্যতে জাতিসামান্যাৎ স যাতি নরকং ধ্রুবম্ ॥’’ “শ্বপাকমিব নেক্ষেত লোকে বিপ্ৰমবৈষ্ণবম্। বৈষ্ণবোবণর্বাহ্যোঽপি পুনাতি ভুবনত্রয়ম্ ॥’’ “অর্চ্যে বিষ্ণৌ শিলাধীর্গুরুষু নরমতির্বেষ্ণবে জাতিবুদ্ধির্বিষ্ণোর্বা বৈষ্ণবানাং কলিমলমথনে পাদতীর্থেঽম্ববুদ্ধিঃ। শ্রীবিষ্ণোর্নাম্মি মন্ত্রে সকলকলুষহে শব্দসামান্যবুদ্ধির্বিষ্ণৌ সর্বেশ্বরেশে তদিতরসমধীর্যস্য বা নারকী সঃ॥’’ (—পদ্মপুরাণ)।