ছাত্রগণের জিজ্ঞাসার উত্তরে প্রভুর স্বয়ং কৃষ্ণনাম সংকীর্তন-রীতি শিক্ষা-দান—
শিষ্যগণ বলেন,—“কেমন সংকীর্তন”?
আপনে শিখায়েন প্রভু শ্রীশচীনন্দন॥
ব্রহ্মজিজ্ঞাসু ও বিষ্ণুভক্তিজিজ্ঞাসু ছাত্রগণের প্রশ্নে কৃষ্ণসঙ্কীর্তনের ব্যাখ্যা করিতে গিয়া স্বয়ং শুদ্ধ-সরস্বতীপতি শ্রীবিশ্বম্ভর ছাত্রগণকে শৌতিপথ শিক্ষা দিলেন। তাঁহার শিক্ষায় তর্কপথ আদৃত না হওয়ায় অধিরোহবাদের অকর্মণ্যতাই প্রদর্শিত হইয়াছে। “জ্ঞানে প্রয়াসমুদপাস্য” এবং “প্রায়েণ বেদ তদিদং”—এই ভাগবত-কথিত শ্লোকদ্বয়প্রতিপাদিত নিস্ফল অধিরোহ-পথে যে নির্ভেদজ্ঞান ও অনিত্য-কর্মের কুচেষ্টা, উহার নিষেধোপলক্ষণেই বিষ্ণুমন্ত্র প্রদত্ত হয়। কিন্তু আধুনিক মনোধর্ম-জীবী শ্রৌতপথবিরোধী হরি-গুরু-বৈষ্ণববিদ্বেষী বৈষ্ণব-ব্রুবের কীর্তিত কোন কল্পিত কৃত্রিম ছড়া প্রভু বা তদীয় নিষ্কপট মুক্তসেবক জগদগুরু আচার্য ও প্রচারকগণ কখনও কাহাকেও উপদেশ দেন নাই, পরন্তু গুরুপরম্পরা প্রাপ্ত মন্ত্রের এবং সম্বোধনাত্মক শ্রীনামেরই উপদেশ দিয়াছেন। প্রভু এই মন্ত্র ও নাম আম্নায় বা গুরু পারম্পর্য-ক্রমে প্রাপ্ত হইবার লীলা প্রদর্শন করিয়া তাহারই উপদেশ দিয়াছিলেন।