প্রভুর বিদ্যা-বিলাস-অদর্শনে গ্রন্থকারের খেদ ও প্রার্থনা—
হইলু পাপিষ্ঠ, —জন্ম না হইল তখনে।
হইলাঙ বঞ্চিত সে-সুখ-দরশনে॥
পরবিদ্যা-বধূজীবন সাক্ষাৎ শুদ্ধসরস্বতী-পতি মূর্ত - শব্দবিগ্রহ গৌরসুন্দরের পরবিদ্যা-বিলাস দর্শন করিবার সৌভাগ্য যাঁহারা লাভ করিয়াছিলেন, সেই মুক্তবন্ধ দিব্যসূরিগণকে ও যদি কেহ দর্শন করেন, তবে সেই দর্শকগণও অবিদ্যাজনিত ভোগ-প্রবৃত্তি হইতে নিত্যকালের জন্য মুক্ত হন। পরবর্তিকালে শ্রীল ঠাকুর নরোত্তমের ‘প্রার্থনা’য়ও এইরূপ কথা লিখিত হইয়াছে—
“সে সব সঙ্গীর সঙ্গে যে কৈলা বিলাস ।
সে সঙ্গ না পাইয়া কান্দেনরোত্তমদাস ॥”
* * “যখন গৌর-নিত্যানন্দ, অদ্বৈতাদি ভক্তবৃন্দ, নদীয়া-নগরে অবতার। তখন না হৈল জন্ম, এবে দেহে কিবা কর্ম, মিছামাত্র বহি ফিরি ভার।”