যত শুনি শ্রবণে, সকল—কৃষ্ণনাম।
সকল ভুবন দেখি গোবিন্দের ধাম॥
অন্যত্র অকথ্য,—অন্য কাহারও নিকট প্রকাশ-যোগ্য নহে॥।
শ্রীগৌরসুন্দর বলিতেছেন,—“আমি সর্বক্ষণ কেবলই দেখিতেছি যে, এক শ্যামকান্তি কিশোর বংশীধ্বনি করিয়া সকলকে আকর্ষণ করিতেছেন। আমি সর্বক্ষণ একমাত্র তাহাকেই দর্শন করি বলিয়া তাহার নাম-কথাই সর্বদা সর্বতোভাবে কীর্তন করি। যে-সকল শব্দ-কোলাহল তোমাদের কর্ণে প্রবিষ্ট হইতেছে, তাহা সমস্তই বস্তুতঃ কৃষ্ণনামকোলাহল এবং চতুর্দিকে তোমরা অধুনা যে ভোগভূমি প্রপঞ্চ দর্শন করিতেছ, তাহা বস্তুতঃ তোমাদের বিহার-ক্ষেত্র নহে, পরন্তু কৃষ্ণবিহারস্থলী বৈকুণ্ঠ গোলোকধাম।