যাজ্ঞিকবিপ্ৰ-পত্নীগণের কৃষ্ণরূপ-দর্শন তথাহি (ভাঃ ১০/২৩/২২)
“শ্যামং হিরণ্যপরিধিং বনমাল্যবহ-
ধাতুপ্রবালনটবেষমনুব্রতাংসে।
বিন্যস্তহস্তমিতরেণ ধূনানমজ্বং
কর্ণোৎপলালক কপোলমুখাজ্বহাসম্॥”
ক্ষুধার্ত গোপবালকগণ শ্রীকৃষ্ণের নিকট অন্ন প্রার্থনা করায় তিনি তাহাদিগকে নিকটবর্তী আঙ্গিরস-যজানুষ্ঠানরত যাজ্ঞিকবিপ্রগণের নিকট প্রেরণ করিলে উহারা শ্রীকৃষ্ণে মর্ত্যবুদ্ধিবশে তাহাদিগকে প্রত্যাখ্যান করিল। গোপবালকগণ নিরাশ হইয়া প্রত্যাবর্তন করায় শ্রীকৃষ্ণ তাহাদিগকে পুনরায় সেই বিপ্রগণের পত্নীদিগের নিকট প্রেরণ করিলেন। কৃষ্ণগুণশ্রবণাকৃষ্টা সেই বিপত্নীগণ শ্রীকৃষ্ণের অন্নপ্রার্থনাশ্রবণে তন্নিমিত্ত চতুর্বিধ প্রচুর ভোজ্য সঙ্গে লইয়া সাগরগামিনী নদীর ন্যায় অহৈতুকী ও অপ্রতিহতা ভক্তিসহকারে পতি, ভ্রাতা ও বন্ধুগণের নিষেধ সত্ত্বেও শ্রীকৃষ্ণের সমীপে আসিয়া তাহাকে এইরূপ দর্শন করিলেন,—
অনুবাদ। যাজ্ঞিক বিপত্নী দেখিলেন,—কৃষ্ণের বর্ণ শ্যামল, পরিধানে হেমাভ পীতবসন; তিনি—বনমালা, শিখিপুচ্ছ, ধাতু ও প্রবালাদিদ্বারা নটবর-বেষে সজ্জিত হইয়া এক (বাম)-হস্ত প্রিয়সখার স্কন্ধে স্থাপনপূর্বক অন্য (দক্ষিণ) হস্তে লীলা-কমল সঞ্চালন করিতেছেন। তাহার কর্ণদ্বয়ে পদ্মযুগল, গণ্ডদ্বয়ে অলকাবলী ও মুখপদ্মে সুমধুর হাস্য শোভা পাইতেছে।