সে চরণ-উদক-প্রভাবে সেই স্থান॥
জগতে হইল পাদোদকতীর্থ’ নাম॥
তথ্য। (ভাঃ ১/১৮/২১) “অথাপি যৎপাদনখাবসৃষ্টং জগদ্বিরিঞ্চোপহৃতাহাম্ভঃ। সেশং পুনাত্যন্যতমো মুকুন্দাৎ কো নাম লোকে ভগবৎপদার্থঃ॥”
অর্থাৎ যাঁহার শ্রীপদনখ হইতে নিঃসৃত হইয়াও শ্রীগঙ্গা ব্রহ্মা-কর্তৃক অৰ্ঘোদকরূপে সমর্পিত হইয়া মহাদেবের সহিত সমস্ত জগৎ পবিত্র করিতেছেন, ইহজগতে সেই মুকুন্দ ভিন্ন অন্য কে আছেন, যিনি ভগবৎ-শব্দবাচ্য হইতে পারেন?
(ভাঃ ৩।২৮২২-) “যচ্ছৌচনিঃসৃতসরিৎপ্রবরোদকেন তীর্থেন মূধিকৃতেন শিবঃ শিবো হভূৎ। ধ্যাতুর্মনঃশমলশৈলনিঃসৃষ্টবজ্রং ধ্যায়েচ্চিরং ভগবতশ্চরণারবিন্দম্॥”
অর্থাৎ যাঁহার শ্রীপাদ প্রক্ষালন-নিঃসৃতা সরিৎশ্রেষ্ঠা গঙ্গার সংসারতারণ জল নিজ-শিরে ধারণ করিয়া শ্রীশিবও শিবস্বরূপ অর্থাৎ মঙ্গলময় বা অত্যধিক সুখ প্রাপ্ত হইয়াছেন, বজ্রনিক্ষেপফলে পর্বত-বিদারণের ন্যায় সেই শ্রীচরণধ্যানকারীর মনের যাবতীয় কলুয-কল্য-কষায়-কিন্বিষরাশি বিধ্বংসিত হয়; অতএব সেই ভগবানের পাদপদ্ম সর্বদাই ধ্যান করিবে।