ভদ্রাভদ্র মূর্খ দ্বিজ জানিবে কেমনে?
ইহা জানি’ ‘কৃষ্ণ’ বল, কর’ অধ্যয়নে॥
আমার উপদেশানুসারে পূর্বোক্ত কথাগুলি বিচারপূর্বক তুমি ভগবদ্ভক্তির বিচার রাখিয়া দিয়া এখন শাস্ত্রের অধ্যয়ন ও অধ্যাপনে মনোনিবেশ কর। শাস্ত্রপাঠ-ফলেই তুমি বা তোমার ছাত্রগণ প্রকৃত বৈষ্ণব-ব্রাহ্মণ-শব্দবাচ্য হইবে। সাঙ্গবেদ অধ্যয়ন করিলেই অর্থাৎ স্বাধ্যায়-দ্বারাই বৈষ্ণব-ব্রাহ্মণ হওয়া যায়। আচার্যের নিকট হইতে সংস্কার লাভ না করিয়া স্বাধ্যায়ে উদাসীন। হইলে বিষ্ণুভক্তি-নিরূপণে বিশৃঙ্খলতা আসিতে পারে।
(চৈঃ চঃ মধ্য ২২শ পঃ ৬৫-)
“শাস্ত্রযুক্তে সুনিপুণ দৃঢ়শ্রদ্ধা যাঁর।
উত্তম-অধিকারী’ সেই তারয় সংসার॥”
(ভঃ রঃ সিঃ পূঃ বিঃ ২য় লঃ-)
“শাস্ত্রযুক্তৌ চ নিপুণঃ সর্বথা দৃঢ়নিশ্চয়ঃ।
প্রৌঢ়শ্রদ্ধোহধিকারী যঃ স ভক্তাবুত্তমো মতঃ॥”২৭৬॥
ভদ্রাভদ্র, —ভদ্র (শ্রেয়ঃ) ও অভদ্র (প্রেয়ঃ), ভালমন্দ, হিতাহিত, শুভাশুভ, উচিতানুচিত।
শাস্ত্রাধ্যয়ন-বর্জিত মূখ ব্যক্তি ব্রাহ্মণব্রুব হইলেও ভালমন্দ বিচার করিবার যোগ্য বা উপযুক্ত নহে। সুতরাং তোমার আদেশ শাস্ত্রাধ্যয়নে অমনোযোগী হইয়া কৃষ্ণ ক ষ্ণ’ বলিলেও উচিতানুচিত বুঝিতে পারিবে না।