যেখানে তোমার যাত্রা-মহোৎসব নাই।
ইন্দ্রলোক হইলেও তাহা নাহি চাই॥
যে স্থলে ভগবান কৃষ্ণের গুণ কীর্তন নাই, পরন্তু বদ্ধ জীবের নশ্বর গুণকীর্তনময় ব্যভিচার আছে, যে স্থলে বৈকুণ্ঠাগত কোন অপ্রাকৃত দিব্যসূরিই অবতীর্ণ হইয়া কৃষ্ণাভিন্ন নাম-রূপ-গুণ-লীলার কীর্তন করেন না, যে স্থলে ভগবানের ত্রিবিক্রমত্ব অর্থাৎ তরীয়ধাম প্রকাশিত নাই, যে স্থলে কষ্ণসম্বন্ধি কোনপ্রকার পর্ব-মহোৎসবাদি অনুষ্ঠিত হয় না, সেই স্থান যদি অমরাবতীর ন্যায় ইন্দ্রিয়তর্পণের স্থানও হয়, তাহা হইলেও আমি উহা আদৌ অভিলাষ করি না।
অর্ধেক্ষজ-সেবা যিনি বুঝিতে পারিয়াছেন, তাঁহারই নিকট “ত্রিদশপুরাকাশপুষ্পয়তে” অর্থাৎ বহির্জগতে ভোগবুদ্ধি থাকিতে পারে না। ভোগি-জীবকুলের ইন্দ্রিয়তর্পণে উৎকট অভিলাষ থাকায় তাহাদের বৈকুণ্ঠ-বিষ্ণুস্মৃতির সম্ভাবনা নাই বলিয়া তাহারা অন্যাভিলাষিতাশূন্য-নৈষ্কর্মাশ্রয় বিষ্ণুভক্তিকে অনাদর করিয়া স্বর্গাদি ইন্দ্রিয়তৃপ্তির আদর্শভূমিকে বহুমান করে।