তুমি-হেন কল্পতরু-ঠাকুর ছাড়িয়া।
ভুলিলাঙ অসৎপথে প্রমত্ত হইয়া॥
ভুলিলাঙ অসৎপথে প্রমত্ত হইয়া, (ভাঃ ৩/৯/৬ শ্লোকে মৈত্রেয়-বিদুর-সংবাদে ব্রহ্মার নারায়ণ রূপ-দর্শনান্তে স্তব)
“তাবয়ং দ্রবিণদেহসুহৃন্নিমিত্তং শোকঃ স্পৃহা পরিভবো বিপুলশ্চ লোভঃ।
তাবন্মমেত্যসদবগ্রহ আৰ্তিমূলং যাবন্ন তেঽঙ্ঘ্রি মভয়ং প্রবৃণীত লোকঃ॥”
অর্থাৎ ‘যেকাল পর্যন্ত লোক ভবদীয় অভয় পাদপদ্ম প্রকৃষ্টরূপে বরণ না করে, সেইকাল পর্যন্ত তাহার অর্থ, দেহ, আত্মীয়স্বজন ও সুহৃদ্বর্গ পাছে বিনষ্ট হয় তজ্জন্য ভয়, উহাদের বিনাশে শোক, পুনরায় উহাদিগকে প্রাপ্ত হইবার জন্য স্পৃহা, তদনন্তর পরাজয়, তথাপি উহাদের জন্য বিপুল পিপাসা, পুনরায় কোন-প্রকারে প্রাপ্ত হইলে অনাত্মবস্তুতে ‘আমি’ ও ‘আমার এইরূপ জড়াসক্তি বর্তমান থাকে; উহাই সংসারের মূল কারণ।