গর্ভবাসে যত দুঃখ জন্মে বা মরণে।
কৃষ্ণের সেবক, মাতা, কিছুই না জানে॥
কৃষ্ণভক্তির ও কৃষ্ণভক্তের প্রভাব,—ভাঃ ৩/২৬/৩২-৪৪ সংখ্যায় মাতা দেবহূতির প্রতি ভগবান্ কপিলদেবের উক্তি দ্রষ্টব্য।
(ভাঃ ৩/২৫/৪৩ শ্লোকে মাতা-দেবহৃতির প্রতি ভগবান কপিলদেবের উক্তি—)
“জ্ঞানবৈরাগ্যযুক্তেন ভক্তিযোগেন যোগিনঃ।
ক্ষেমায় পাদমূলং মে প্রবিশন্ত্যকুতোভয়ম্॥”
ইহ জগতে কৃষ্ণবিমুখ ও বিস্মৃত জীবসকল জন্ম-স্থিতি-মরণ-মালা-বেষ্টিত হইয়া মাতৃকুক্ষিতে বাস-কালে নানাবিধ যন্ত্রণা ভোগ করে। ভগবদ্ভক্তগণ মাতৃজঠরে বাস-হেতু কোন ঘৃণা বা ক্লেশাদি বোধ করেন না, পরন্তু ভগবদিচ্ছাক্রমে প্রপঞ্চে আগমন করিবার পূর্বেও তিনি গর্ভবাসক্লেশাদিতে উদাসীন থাকিয়া তৎকালেও ভগবানের সেবা করিয়া থাকেন। ফলতঃ, ভগবদ্ভক্ত কোন অবস্থাতেই জন্ম মরণের কোনপ্রকার দুঃখাদি অনুভব করেন না, সর্বদাই কৃষ্ণসেবানন্দে নিমগ্ন থাকেন। মাতা কয়াধুর গর্ভে অবস্থানকালে মহা-ভাগবত শ্রীপ্রহ্লাদের অনুক্ষণ কৃষ্ণ-স্মরণই এই বিষয়ে জলন্ত দৃষ্টান্ত।