যথাবিধি করি’ প্রভু গোবিন্দ-পূজন।
আসিয়া বসিলা গৃহে করিতে ভোজন॥
যথাবিধি লব্ধ-বৈষ্ণব-দীক্ষা ব্যক্তি ভগবদবিষ্ণু-নৈবেদ্য তুলসীমঞ্জরীর সহিত অর্পণ না করিলে ভগবান বিষ্ণু তাহা গ্রহণ করেন না, কেন না, তুলসী—নিত্য কৃষ্ণ-প্রেয়সী, তাঁহার মঞ্জরী-পত্রও সুতরাং কেশবের অতি প্রিয়। বাঙ্ক্ষার্চাবতার তুলসীর মঞ্জরীর সহযোগেই অর্চাবতার শ্রীগোবিন্দ-বিগ্রহের অর্চন বিধেয়। বার্ক্ষার্চাবতার মঞ্জরীদ্বারা ভগবান্ বিষ্ণু-বিগ্রহের অর্চন বিধিব্যবস্থা সকল সাত্বত বৈষ্ণব-স্মৃতি-শাস্ত্রেই বিহিত। শ্রীগৌরসুন্দর এক্ষণে তদীয়রূপা অর্চা-বিগ্রহ শ্রীতুলসীর অঙ্গে জলসেচনরূপ অর্চনান্তে স্বীয় কুলদেবতা বা গৃহদেব শ্রীগোবিন্দ অর্থাৎ বিষ্ণুবিগ্রহের শুদ্ধ-পূজা করিলেন। এই লীলাচরণ-দ্বারা প্রভু সেশ্বর পরমার্থী আদর্শগৃহস্থের অবশ্য করণীয় নিত্যকৃত্যের মহান্ দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিলেন। প্রত্যেক গৃহস্থিত বৈষ্ণব এইরূপ আদর্শের অনুসরণ করিয়া ভগবান্ শ্রীবিষ্ণু-বিগ্রহের অর্চন করিবেন এবং নৈবেদ্যাবশেষ পরমশ্রদ্ধা ও দীনতার সহিত গ্রহণ করিবেন।