কৃষ্ণের ভজন ছাড়ি’ যে শাস্ত্র বাখানে।
সে অধমে কভু শাস্ত্রমর্ম নাহি জানে॥
যাঁহারা প্রাক্তনজন্মের পুঞ্জ পুঞ্জ দুষ্কৃতিবশে সর্বশাস্ত্রে একমাত্র তাৎপর্য ‘কৃষ্ণভজন’ পরিত্যাগ করিয়া ভগবদ্ভক্তির পরমোৎকর্ষসূচক ভক্তিপর ব্যাখ্যা করেন না অর্থাৎ ভক্তিপ্রতিকূল অন্যাভিলাষ, কর্ম, জ্ঞান ও যোগাদি অভক্তিকেই উপায় এবং ধর্ম, অর্থ, কামও মোক্ষলাভকেই উপেয়জ্ঞানে শাস্ত্র-তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন, তাঁহারা শাস্ত্রের প্রকৃত স্বারস্য, অনুভব, অভিপ্রায় বা তাৎপর্য অবগত নহেন। “আচার্যবান পুরুষো বেদ (-ছাঃ ৬১৪।২), ‘যস্য দেবে পরা ভক্তিৰ্যথা দেবে তথা গুরৌ। তস্যৈতে কথিতা হ্যর্থাঃ প্রকাশন্তে মহাত্মনঃ॥” (শ্বেতাশ্বঃ ৬।২৩) “নায়মাত্মা প্রবচনেন লভ্যো ন মেধয়া ন বহুনা শ্রুতেন। যমেবৈষ বৃণুতে তেন লভ্যস্তস্যৈষ আত্মা বিবৃণুতে তনুং স্বাম্॥” (-কঠ ১।২।২৩), প্রভৃতি মন্ত্র এবং “শব্দব্রহ্মণি নিষ্ণাতো ন নির্ষ্ণায়াৎ পরে যদি। শ্রমস্তস্য শ্রমফলো হ্যধেনুমিব রক্ষতঃ॥” (–ভাঃ ১১।১১।১৮) “অথাপি তে দেব পদাম্ভুজদ্বয়প্রসাদলেশানুগৃহীত এব হি। জানাতি তত্ত্বং ভগবন্মহিম্নো ন চান্য একোহপি চিরং বিচিন্বন্॥” (–ভাঃ ১০।১৪।২৯) প্রভৃতি শ্রুতিস্মৃতিপুরাণাদিশাস্ত্রের অসংখ্য শ্লোক বিশেষভাবে আলোচ্য।