ভৃণ্ড কৃষ্ণপ্রেরণায়ই এই কার্য করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন—
যাহা করিলেন সে তাহান কর্ম নয়।
আবেশের কর্ম ইহা জানিহ নিশ্চয়।
ব্রহ্মার নন্দন ভৃগু ক্ষুদ্রজীব হইয়াও লোকচক্ষে যে সর্বাপেক্ষা গর্হিত কার্য করিলেন, উহা ভক্তজনোচিত নহে; পরন্তু যাহারা জাগতিক মূঢ়তা-বশে হরি-হর-বিরিঞ্চির মধ্যে বিষ্ণুর পরমপদের উত্তমত্ব বুঝিতে পারেনা, তাহাদের মঙ্গলের জন্যই আবেশাবতার সূত্রে ঐরূপ অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন। মায়াবাদাচার্য শ্রীশঙ্করও আবেশাবতারের অভিনয় করিয়া স্বীয় নিত্য দাস্যভাব গোপন করিয়াছিলেন। শ্ৰীশঙ্করাচার্য—রুদ্রের আবেশাবতার; শ্রীভৃগু-শ্রীব্যাসদেবও বিষ্ণুর আবেশাবতার। অধস্তন ঋষিগণও ব্রহ্মার আবেশাবতার। সুতরাং ভগবান্ই আবিষ্ট হইয়া বিভিন্ন লীলা প্রদর্শনকলে প্রয়োজক- কর্তৃরূপে জীব-হৃদয়ে প্রবিষ্ট আছেন। ক্ষুদ্রজীব কর্মী স্মার্ত ব্রাহ্মণ-ব্রুবগণ ভৃগুকে যেরূপ শ্রেষ্ঠ আসন দান করেন, ভক্তগণ তাঁহাকে সেরূপ দর্শন করেন না। অনুরাগপথে তদনুকরণকারী বল্লভীয় -সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠিত মধুর -রসে ভগবানের বিশ্রম্ভ-সেবা যাঁহারা আলোচনা করিয়াছেন, তাঁহারাই ভৃগুচরিত্র বুঝিতে পারেন।