বৈষ্ণব-তত্ত্ব জীবের অগম্য—
বিষ্ণুতত্ত্ব যেন অভিজ্ঞাত বেদবাণী।
এই মত বৈষ্ণবেরো তত্ত্ব নাহি জানি।
ভগবত্তত্ত্ব—সাধারণের নিকট অবিজ্ঞাত। বেদশাস্ত্র—“ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সুরয়ঃ দিবীব চক্ষুরাততম্’’ প্রভৃতি মন্ত্রের দ্বারা তাঁহাকে প্রকাশ করেন। গৌরসুন্দরের নিষ্কপট ভজনপ্রভাবে বিষ্ণুতত্ত্বের ধারণা হয়; গৌরসুন্দরের কথাই বেদবাক্য। স্বতন্ত্র বেদবাক্যের বিবর্ত সসীম মানবজ্ঞানকে বিচলিত ও বিপর্যস্ত করে। যেরূপ ভগবানের তত্ত্ব অবিজ্ঞাত, তদ্রূপ বৈষ্ণবের তত্ত্বও সাধারণের বোধগম্য নহে।
তথ্য। বৃহচ্চ তদ্দিব্যমচিন্ত্যরূপং সূক্ষ্মাচ্চ তৎ তৎ সূক্ষ্মতরং বিভাতি। দূরাৎ সুদূরে তদিহান্তিকে চ পশ্যৎস্বিহৈব নিহিতং গুহায়াম্। (মুণ্ডক ৩/১/৭) তদেতদিতি মন্যন্তেঽনির্দেশ্যং পরম সুখম্। (কঠ ২২/১৪) নাহং ন যূয়ং যদৃতাং গতিং বিদুৰ্ন বামদেব! কিমুতাপরে সুরাঃ । তন্ময়য়া মোহিতবুদ্ধয়স্ত্বিদং, বিনির্মিতঞ্চাত্মসমং বিচক্ষ্মহে।। (ভাঃ ২/৬/৩৭)।।) নাহং বিরিঞ্চো ন কুমারনারদৌ, ন ব্রহ্মপুত্রা মুনয়ঃ সুরেশাঃ। বিদাম যস্যেহিতমংশকাংশকা, ন তৎস্বরূপং পৃথগীশমানিনঃ। তস্মান্ন বিস্ময়ঃ কার্যঃ পুরুষেষু মহাত্মাসু। মহাপুরুষভক্তেষু শান্তেষু সমদর্শিষু।। (ভাঃ ৬/১৭/৩২ ও ৩৫)।