এ সকল ঈশ্বরের বচন লঙ্ঘিয়া।
অন্যেরে বলয়ে ‘কৃষ্ণ সে-ই অভাগিয়া।
শ্রীনিত্যানন্দ ও শ্রীঅদ্বৈত—বিষ্ণুতত্ত্ব ও অন্যান্য গৌরভক্তগণ—অতিপ্রধান ব্যক্তি, সকলেই শ্রীচৈতন্যদেবকে স্বয়ং ভগবান্ বলিয়া জানিতেন। কিন্তু ভাগ্যহীন জনগণ নিজবুদ্ধিদোষে ত্রিবিধ দুর্দশাপন্ন জীবকে ‘কৃষ্ণ’ বলিয়া স্থাপন করে। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যদেব জীবগণকে সর্বাপেক্ষা সৌভাগ্যফল কৃষ্ণপ্রেমলাভ শিক্ষা দিয়াছেন। আর, মনুষ্যে দেবত্বারোপবাদী জনগণ অন্যাভিলাষ, কর্ম ও জ্ঞানের প্রচারকগণকে কর্মফলবাধ্য জড়পিণ্ডাশ্রিত জ্ঞান না করিয়া তাহাদের প্রতি ভগবত্তার আরোপ করে, উহা তাহাদের বিষম। ‘দুর্ভাগ্যেরই লক্ষণ।