লুকাও আপনে তুমি, প্রকাশ আপনে।
যারে অনুগ্রহ কর’ জানে সে-ই জনে।
ভগবান্ শ্রীগৌরসুন্দর—সাক্ষাৎ অবতারী কৃষ্ণ, কিন্তু শ্রীগৌরমূর্তিতে ভক্তবেষ প্রকাশ করিয়া আপনাকে আবৃত করিয়াছিলেন। আর সাক্ষাৎ সঙ্কীর্তন-মূর্তি শ্রীগৌরসুন্দরভাগবত-কথিত “কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাঽকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্ৰপার্ষদম্ । যজ্ঞৈঃ সঙ্কীর্তনপ্রায়ৈর্যজন্তি হি সুমেধসঃ।।’’—এই শ্লোকের প্রতিপাদ্য উপাস্যরূপে প্রকাশিত। যিনি কৃষ্ণসঙ্কীর্তন করেন, তিনিই গৌরসুন্দরকে জানিতে পারেন। কীর্তন ব্যতীত অন্য প্রকার অনুষ্ঠানরত জনগণ গৌরসুন্দরকে সুষ্ঠুভাবে জানিতে পরেন না।
তথ্য। যত্তদদ্রেশ্যমগ্রাহ্যমগোত্রমবর্ণমচক্ষুঃশ্রোত্ৰং তদপাণিপাদং নিত্যং বিভূং সর্বগতং সুসূক্ষ্মং তদব্যয়ং যদ্ ভূতযোনিং পরিপশ্যন্তি ধীরাঃ। (মুণ্ডক ১/১/৬) যদেকমব্যক্তমনন্তরূপং বিশ্বং পুরাণং তমসঃ পরস্তাৎ । তদেবর্তং তদুসত্যমাহুস্তদেব ব্রহ্মপরং কবীনাম্ ।। (নারায়ণোপনিষৎ) এতৎ ত্বয়া ন বিজ্ঞেয়ং রূপবানিতি দৃশ্যতে। ইচ্ছন্ মুহূর্তাৎ নশ্যেয়ম্ ঈশোঽহং জগতাং গুরুঃ ।। মায়াহ্যেষা ময়া সৃষ্টা যন্মাং পশ্যসি নারদ। সর্বভূতগুণৈর্যক্তং নৈবং ত্বং জ্ঞতুমর্হসি।। (মহাভারত শান্তি ৩৪১/৪৩-৪৫ লঘুভাগবতামৃত ১৪৫ সংখ্যাধূত) ন শক্য স ত্বয়া দ্রষ্টুমস্মভির্বা বৃহস্পতে। যস্য প্রাসাদং কুরুতে সবৈ তং দ্রষ্ট্রমর্হতি।।(মহাভারত শান্তি ৩৩৮/ ২০ লঘুভাগবতামৃত ১৪৯ সংখ্যাধৃত) সচ্চিদানন্দরূপত্বাৎ স্যাৎ কৃষ্ণোঽধোক্ষজোঽপ্যসৌ। নিজশক্তেঃ প্রভাবেন স্বং ভক্তান্ দর্শয়েৎ প্রভুঃ । পাদ্মে, লঘুভাগবতামৃত ১৫০ সংখ্যাধৃত)।