সেই সময় শ্রীজগন্নাথ ও শ্রীবলরামের চন্দন-যাত্রা-উপলক্ষে নরেন্দ্রে বিহারার্থ আগমন—
হেনকালে রামকৃষ্ণ শ্ৰীযাত্রা গোবিন্দ।
জলকেলি করিবারে আইলা নরেন্দ্র।
বৈশাখস্য সিতে পক্ষে তৃতীয়াক্ষয়সংজ্ঞিকা, তত্র মাং লেপয়েদ্ গন্ধলেপনৈরতিশোভনম্।। (স্কন্ধ পুঃ উৎকখণ্ড ২৯শ অঃ) অর্থাৎ বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষে অক্ষয় তৃতীয়া নাম্নী তিথিতে সুগন্ধী চন্দনের দ্বারা আমার অঙ্গ লেপন করিবে। শ্রীপুরুষোত্তমদেব তৎসেবক বৈষ্ণবরাজ শ্রীইন্দ্রদ্যুম্ন দেবকে বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের অক্ষয় তৃতীয়া নাম্নী তিথিতে নিজ শ্রীঅঙ্গে সুগন্ধি চন্দন লেপনের আজ্ঞা প্রদান করিয়াছিলেন, আজও তদনুসারে অক্ষয় তৃতীয়া হইতে আরম্ভ করিয়া জ্যৈষ্ঠমাসের শুক্লা অষ্টমী তিথি পর্যন্ত প্রত্যহ শ্রীজগন্নাথ দেবের বিজয়বিগ্রহস্বরূপ শ্রীমদনমোহনকে শ্রীমন্দির হইতে বিমানে আরোহণ করাইয়া শ্রীনরেন্দ্র সরোবরকূলে আনয়ন করা হয়। শ্রীমদনমোহনদেব স্বীয় মন্ত্রী লোকনাথমহাদেবাদির সহিত সরোবরে নৌকাবিলাস করেন। শ্রীমদনমোহনের শ্রীচন্দনযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় বলিয়া শ্রীনরেন্দ্রসরোবরকে ‘চন্দনপুকুর’ ও বলা হয়।
শ্ৰীযাত্রা—চন্দনযাত্রা।