“শুন বিপ্র, মহা-অধিকারী যেবা হয়।
তবে তা'ন দোষ-গুণ কিছু না জন্ময়।
শ্রীগৌরসুন্দর সেই সুকৃতিসম্পন্ন সন্দিগ্ধচিত্ত ব্রাক্ষণকে বলিলেন- আধ্যক্ষিক অধিকার অর্থাৎ আপাতদর্শন এক প্রকার, আর তাৎপর্যযুক্ত সুতীক্ষ্ণদৃষ্টিতে প্রবেশ অন্য প্রকার । যাঁহারা অন্যাভিলাষ,কর্মজ্ঞানাদির আবরণ পরিত্যাগ করিয়া অনুকুলভাবে সর্বক্ষণ কৃষ্ণের অনুশীলন করেন, তাঁহাদের অধিকার ও তদিতর অপর পক্ষের অধিকারের মধ্যে পরস্পর ভেদ আছে। প্রাকৃত জনগণ মন, বুদ্ধি ও অহঙ্কারের অধীন। অপ্রাকৃত প্রতীতিতে মায়িক দোষ ও গুণ প্রবেশ করিতে পারে না। পদ্মপত্র যেরূপ পারদ ও জলাদিতে আবদ্ধ করে না, তদ্রূপ কৃষ্ণভোগতাৎপর্যপর চিত্ত কখনই স্বভোগপর অমঙ্গলের আবাহন করে না।