সন্ন্যাস আশ্রম তান বলে সর্বজন।
কপূর তাম্বুল সে ভোজন সর্বক্ষণ।
শ্রীনিত্যানন্দপ্রভু জগদ্বাসীকে স্রগ্, গন্ধ, বাস ও অলঙ্কারসমূহ কৃষ্ণপ্রসাদবুদ্ধিতে গ্রহণ করিবার শিক্ষা প্রদান করায় তাঁহাকে মুঢ়জনগণ—‘বিলাসপুর’ বলিয়া সাব্যস্ত করিয়াছিল। তাহাতে তাঁহার প্রতি অনেকের শ্রদ্ধা ছিল না। আবার, যাঁহারা বুদ্ধিমান্ , তাঁহারা হরিসম্বন্ধি বস্তুর পরিত্যাগকে ‘ফল্গু-বৈরাগ্য’ জানিয়া শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর প্রচাৰ্য বিষয়ে আনন্দ লাভ করিতেন।।
বিধিশাস্ত্রমতে চতুর্থাশ্রমী স্রগ্গন্ধতাম্বুলাদি বিলাসসহচর বস্তু গ্রহণ করিতে পারেন না। কিন্তু বর্তমানকালে অকালপক্ক অহঙ্কারী প্রাকৃতসহজিয়াগণ নির্বিবাদে প্রসাদগ্রহণের ছলনায় প্রচুর তাম্বুল ব্যবহার করে! এই প্রকার অনধিকারীর পরমহংসাচার গ্রহণ সর্বদা গর্হণীয় বলিয়া সাধারণ মূঢ় লোক পারমহংস্যধর্মের মূল আশ্রয় শ্রীনিত্যানন্দকেও ‘বিবিক্ত’ ও ‘ধীরসন্ন্যাসী’-জ্ঞানে ভ্রমে পড়িয়াছিলেন।