জীব পুনরায় স্বতন্ত্রতার অপব্যবহার না করিলে পতিতপাবন-নিত্যানন্দের ক্ষমা—
শুন দ্বিজ, যতেক পাতক কৈলি তুই।
আর যদি না করিস সব নিমু মুঞি।
অনুষ্ঠিত পাপের বিষয় যোগ্যগুরুর নিকট নিবেদন করিলে পাপিজীবের পাপ হইতে মুক্তিলাভ হয়; তখন আর সে পুনরায় পাপ করিতে প্রবৃত্ত হয় না। প্রায়শ্চিত্তবিধানে যে দণ্ডের ব্যবস্থা, তাদৃশ দণ্ড অঙ্গীকার করিলে মানবের ভাবি-শিক্ষা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে দণ্ডিত জন দণ্ড সহ্য করিয়া পুনরায় পাপে প্রবৃত্ত হয়। যেখানে আর পাপ করিবার প্রবৃত্তি থাকে না, সেরূপ স্থানে নিজানুষ্ঠিত পাপের ফল হইতে পরিত্রাণ আকাঙ্ক্ষা করা হয়। উহা নিষ্কপটভাবে বিহিত হইলে পুনরায় পাপপ্রবৃত্তির উদয়ের সম্ভাবনা থাকে না। পাপ হইতে মুক্ত না হইলে পাপিজীব নিজ তৎকালিক স্বভাবক্রমে পুনরায় পাপে প্রবৃত্ত হয়। দেউলিয়াদিগের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা না থাকিলে ধর্মাধিকরণের সাহায্যে যেরূপ নূতনভাবে অর্জনের শক্তি দেওয়া হয়, তদ্রূপ পরের অনিষ্টাচরণ প্রভৃতি পাপবাসনা বিদূরিত হইয়া সৎপথে জীবন যাপন করিবার প্রবৃত্তি থাকিলে পাপে মন আর ধাবিত হয় না। শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু ঐ পাপিষ্ঠ ব্রাহ্মণের পূর্ব বৃত্তিসমূহ ক্ষমা করিয়া তাঁহার নবজীবন সঞ্চার করিলেন।