পাষণ্ডীও দেখিলেই মাত্র করে স্তুতি।
সর্ব দিবারে সেই ক্ষণে হয় মতি।
যাহারা অপ্রাকৃত বিষ্ণু-বৈষ্ণবকে প্রাকৃত বস্তু ও ব্যক্তিগণের সহিত সমজ্ঞজ্ঞান করে, উহারা ‘পাষণ্ডী’ শব্দবাচ্য। এইরূপ হরিসেবা-বিমুখ জনগণও নিত্যানন্দ-প্রভুর দর্শনে স্তব করিত। ভগবদ্দর্শনে তাহাদের জড়ভোগময় সংসার-দর্শন নিবৃত্ত হয়, সুতরাং আত্মনিবেদনই তাঁহাদের একমাত্র কৃত্য হইয়া পড়ে। যাঁহাদের আত্মনিবেদন হয়,তাঁহারা পার্থিব দৃশ্যজগতে স্বীয় ভোগপরতা লক্ষ্য করে না অর্থাৎ মুক্ত পুরুষ হন।