নিরবধি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য-সংকীর্তন।
করায়েন, করেন লইয়া ভক্তগণ।
শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু সর্বক্ষণ শ্রীচৈতন্যবিহিত হরিসঙ্কীর্তনে ভক্তগণকে নিযুক্ত রাখিতেন, ভগবান্ শ্রীগৌরসুন্দর যে অভিন্ন ব্রজেন্দ্রনন্দন, এই কথা তিনি গীতিমুখে প্রকাশ করিতেন।
শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু বহু মূল্যবান্ বিচিত্র ভূষণ ও বেশভূষা পরিধান করায় মূঢ় ব্যক্তি তাঁহাকে অপ্রাকৃত ব্রজভাবে বিভাবিত না। দেখিয়া কেবল ঐশ্বর্যপর বলিয়া জানিত। সাধারণ দরিদ্ৰজনগণ—যাহারা দরিদ্রতা-বশে আপনাদিগকে বাহ্য-অভাবজনিত কাঙ্গাল অভিমান করে, তাহারা অবধূত শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর আচারে অলঙ্কারাদি ধারণরূপ ঐশ্বর্যময় প্রকাশ দেখিয়া তাঁহার পাদপদ্মে অপরাধী হয় নাই, পরন্তু মুগ্ধ হইয়া সেই সকল ঐশ্বর্যমূঢ়জনগণের নয়নাকর্ষণের জন্য ধৃত হওয়ায় উহাতে মাধুর্য-দর্শন ও কৃষ্ণসেবার কথা লক্ষ্য করিবার সুযোগ পাইয়াছিল।