যেন রামচন্দ্রে লক্ষ্মণের রতি মতি।
সেই মত নিতাইয়ের শ্রীচৈতন্যে প্রীতি।
শ্রীগৌরসুন্দর শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুকে গৌড়দেশে যাইবার আদেশ প্রদান করিলেন। সেই গৌড়দেশে সকল বুদ্ধিমন্ত আভিজাত্যসম্পন্ন পণ্ডিত ও শ্রেষ্ঠব্যক্তি গৌরসুন্দরের প্রচারিত ধর্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু মুর্খ, নীচ ও পাপাসক্ত জনগণ গৌরসুন্দরের কথিত কৃষ্ণভক্তির কথা বুঝিতে পারে নাই। সেই মূর্খ পতিত নীচ দীন ব্যক্তিগণের মঙ্গল বিধান করিবার জন্য তাহাদের অভক্তি ছাড়াইবার জন্য শ্রীগৌরসুন্দর শ্রীনিত্যানন্দকে গৌড়দেশে প্রেরণ করিলেন। শ্রীমহাপ্রভু ইচ্ছা করিয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে, তিনি যাবতীয় অনভিজ্ঞ, আপাত-দর্শনে অনিপুণ দীনজন সকলকেই উদ্ধার করিবেন। কিন্তু মিছাভক্ত কর্মফলভোগী ইন্দ্রিয়াসক্ত জনগণ অথবা মুমুক্ষ জ্ঞানী মায়াবাদি-সম্প্রদায় সকলেই মুর্খতা, নীচতা ও দৈনের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় ইহাদিগকে উন্নত বিচারে আনয়ন করিবার জন্য করুণহৃদয় ভগবান্ শ্রীগৌরসুন্দর শ্রীনিত্যানন্দকে প্রেরণ করিলেন। মায়াবাদিগণের অত্যন্ত অহঙ্কার, কর্মনিপুণ স্মার্তগণের নিজ পটুতার অভিমান প্রভৃতি তাহাদের ভগবদ্ভক্তিলাভের বাধা হওয়ায় শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু পরদুঃখদুঃখী হইয়া শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর অভীষ্ট সিদ্ধি করিবার জন্য গৌড়দেশে যাত্রা করিলেন। এখনও গৌড়দেশবাসী আর্দ্র চিত্তত্বাদি-দোষে নানাকারে কলুষিত হইলেও রাজপুতানা ও গুর্জরদেশবাসিগণ সকলেই গৌড়দেশবাসীর প্রশংসা করেন।