মাথা মুড়াইয়া সন্ন্যাসীর বেশ ধরে।
চৈতন্যের গুণ শুনি’ পোড়য়ে অন্তরে।
সমস্ত সংসার ত্যাগ করিয়াও মায়াবাদী সন্ন্যাসী বেষ গ্রহণ করিয়াই মৎসরতা হইতে মুক্ত হয় না; যেহেতু উহাদের হৃদয় শ্রীচৈতন্যদেবের গুণ-শ্রবণে হিংসার আশ্রয় লয়। মায়াবাদী সন্ন্যাসী আপনাকে হিন্দুসমাজের গুরু বলিয়া অভিমান করিলেও ভিতরে ভিতরে তাহারা মহাপ্রভুর বিরোধী। কিন্তু বিধর্মী যবনরাজ মহাপ্রভুর গুণগ্রাহী হইয়া তাঁহাকে অন্য সম্প্রদায়ী জানিয়াও তাঁহার প্রতি স্বীয় সম্প্রদায়ভুক্ত কোন ব্যক্তি মাৎসর্য ও বিরোধাচরণ না করে, এরূপ বিধি দিয়াছিলেন। সুতরাং ‘হিন্দু’ নামধারী
মৎসর মায়াবাদী অপেক্ষা অন্যধর্মাবলম্বী রাজার উদারতা ও প্রভুর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়াও মৎসর-স্বভাব ধার্মিক-ব্রুবগণ বিরুদ্ধ আচরণ করে।