নিরন্তর পড়ায়েন গীতা-ভাগবত।
ভক্তি বাখানেন মাত্র—গ্রহের যে মত।
ভগবৎসেবাবিমুখ মায়াবাদী শ্রীমদ্ভাগবত আলোচনা করেন না, বা গীতার তাৎপর্য বুঝিতে পারেন না। সুতরাং শ্রীঅদ্বৈত প্রভু কর্মী, যোগী ও মায়াবাদিগণের গীতা, ভাগবত প্রভৃতি গ্রন্থের ভক্তিব্যাখ্যা শ্রবণ করিবার সুযোগ করিয়া দিলেন। গীতা ও ভাগবত ভক্তি ব্যতীত অন্য কোন পথের প্রশ্রয় দেন নাই; ভক্তিরসবিমুখ ভাগ্যহীন ব্যক্তিগণ ইহা বুঝিতে না পারিয়াই গীতা ভাগবতকে ভক্তিবিরুদ্ধ গ্রন্থ বলিয়া মনে করে। প্রকৃত প্রস্তাবে গীতা ও ভাগবতের একমাত্র তাৎপর্য জীবকে কৃষ্ণোন্মুখ করা।