বৈষ্ণবের পরস্পর কোন্দল ও আপাতমতানৈক্য-দর্শনে
একপক্ষ গ্রহণপূর্বক অপরপক্ষের নিন্দা বিনাশের হেতু —
বৈষ্ণবে বৈষ্ণবে যে দেখহ গালাগালি।
পরমার্থে নহে, ইথে কৃষ্ণ কুতূহলী।
মূঢ় ব্যক্তি বৈষ্ণবগণের মধ্যে পরস্পর কলহ দেখিয়া তাহাকে অবৈষ্ণবের কলহের ন্যায় মনে করে, কিন্তু তাহা তদ্রূপ নহে; পরন্তু তাহাতে কৃষ্ণপ্রীতিই সম্বর্ধিত হয়। রুক্মিণী ও সত্যভামা প্রভৃতি প্রতিযোগিতা-মূলে একে অপরের গর্হণপূর্বক যে কৃষ্ণপ্রীতিসংগ্রহ করেন, সেই কলহে ও প্রতিযোগিতায় কৃষ্ণপ্রেমার উদর হয়। সুতরাং বৈষ্ণবের মধ্যে কলহ ও মতভেদ উৎপাদন করাইয়া শ্রীচৈতন্যদেব জগতে বিবদমান ব্যাপার-সমূহের সিদ্ধান্ত স্থাপন করিয়াছেন।