“কিছু না জানিলুঁ মুঞি আপনা’ খাইয়া।
বৈষ্ণবের নিন্দা কৈলুঁ প্রমত্ত হইয়া।
কুষ্ঠরোগী বলিল—“আমি না বুঝিতে পারিয়া উন্মত্ত হইয়া বৈষ্ণবের নিন্দা করিয়াছি। আমার কৃতাপরাধের জন্য যে শাস্তি বিহিত হইয়াছে, তাহা আমি ভোগ করিলাম। আমার অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত তুমিই একমাত্র অবগত।’’ প্রভু তদুত্তরে বলিলেন, – “এই সামান্য শাস্তি প্রথমমুখে হইয়াছে, কিন্তু বৈষবনিন্দকের যমকর্তৃক অশেষযাতনা-লাভ এখনও বাকী আছে । যম- যাতনার সংখ্যা-চৌরাশি সহস্র শ্রেণীর। যাহার নিকট যে অপরাধ করে, তিনি ক্ষমা করিলেই সেই অপরাধ প্রশমিত হয় যেরূপ কাঁটা ফুটিলে অপর কাঁটা দিয়া উহা বাহির করিয়া ফেলিতে হয়, তদ্রপ।’’