পরম সুবুদ্ধি তুমি হইয়া আপনে।
তবে তুমি সন্ন্যাস করিলা কি কারণে।
সার্বভৌম বলিলেন,—“কৃষ্ণচৈতন্য, তোমাতে কৃষ্ণকৃপা হইয়াছে। তুমি পরম বুদ্ধিমান্—এরূপ বুদ্ধিবিশিষ্ট হইয়া তুমি কি জন্য সন্ন্যাস গ্রহণ করিলে ? সন্ন্যাসগ্রহণে তোমার কি অধিকার আছে?——যেহেতু তোমার বয়স অল্প; মাধবেন্দ্রপুরী প্রভৃতি যে সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়াছেন, তাহা তাঁহারা প্রবীণ হইয়া সংসারভোগান্তে তদ্রূপ বিচার করিয়াছেন। বিশেষতঃ তোমার সন্ন্যাসগ্রহণের পূর্বে বিবেচনা করা উচিত ছিল যে, সন্ন্যাসীকে সকলেই চতুর্থাশ্রমী বলিয়া সম্মান করে। তুমি যখন তৃণাদপি সুনীচভাবময় বৈষ্ণবধর্ম গ্রহণ করিয়াছ, তখন তোমার মর্যাদা-পথে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সকলের সম্মানভাজন হইবার প্রয়োজন কি? শিখা-সূত্র-ত্যাগ অতি দাম্ভিকতার পরিচয়। প্রতিষ্ঠাশার উন্নতসোপানে আরোহণাভিলাষমাত্র। বৈষ্ণব-ধর্মযাজী ব্যক্তি কুকুর, চণ্ডাল, গো ও গর্দভ সকলকেই দণ্ডবৎ প্রণাম করিবেন, কাহারও প্রণাম লইবেন না। বিশেষতঃ মায়াবাদী-সন্ন্যাসিগণ সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়কারী জনগণ যাঁহার দাস, তাঁহার সহিত আপনাদিগকে সমান জ্ঞান করেন। তাঁহারা পিতার কুপুত্র ও নির্বোধ।