জন্ম জন্ম তুমি মোর শুদ্ধ-প্রেম-দাস।
অতএব তোরে মুঞি হইলুঁ প্রকাশ।
শ্রীগৌরসুন্দর সাক্ষাৎ কৃষ্ণচন্দ্র; সুতরাং কৃষ্ণকথিত শ্লোকের ব্যাখ্যা তিনি ব্যতীত অপরে জানে না। সার্বভৌমবর্ণিত ১৩ প্রকার অর্থ ব্যতীত শ্রীগৌরসুন্দর স্বয়ং অন্য বহু প্রকার ব্যাখ্যা করিতে লাগিলেন। সেই সকল ব্যাখ্যার সন্ধান কৃষ্ণেতর কোন ব্যক্তি অনন্তকালে ও পায় না।
সার্বভৌম বলিয়াছিলেন যে, বয়সের অল্পতা-নিবন্ধন গৌরসুন্দরের সন্ন্যাসে অধিকার নাই। তাঁহার প্রতিবাদসূত্রে গৌরসুন্দর নিজ ষড়্ ভুজমূর্তি প্রদর্শন পূর্বক বলিলেন যে, তাঁহারই অধিকার আছে। তুমি বহু বহু জন্ম কৃচ্ছ্রসাধন করিয়া আমার দর্শনার্থ ব্যগ্র হইয়াছিলে বলিয়াই আমি নীলাচলে তোমার জন্য আসিয়াছি। অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড আমারই অন্তর্গত। তুমি জন্মে জন্মে আমার প্রীতির অনুসন্ধানকারী।