হেন সে ক্ষেত্রের অতি প্রভাব নির্মল।
মৎস্য খাইলেও পায় হবিষ্যের ফল।
বিবৃতি। “মৎস্যাদঃ সর্বমাংসাদস্তস্মান্মৎস্যান্ বিবর্জয়েৎ।।’’ এই স্মৃতিবাক্য বিচার করিলে মৎস্যভোজনে সর্ববিধ জীবজন্তু ভোজনের পাপ-স্পর্শ হয়। সুতরাং মৎস্য সর্বাপেক্ষা অপবিত্র বলিয়া কখনও ভোজ্য হইতে পারে না।
হবিষ্যান্ন—পরম পবিত্র, তাহা কোন প্রকারে নিন্দনীয় খাদ্য নহে। নিতান্ত অপবিত্র খাদ্য গ্রহণ করিলেও শ্রীক্ষেত্রবাসে সর্বদা মুকুন্দচিন্তা প্রবল থাকে; তখন আর জীবের মৎস্যাদি ভোজনের দুরভিসন্ধি থাকে না বলিয়া বিষ্ণুনৈবেদ্য হবিষ্যান্ন অপেক্ষা পরম উপাদেয় ও পবিত্র বোধ হয়। পুরাণ-বাক্যের তাৎপর্য গ্রহণ করিতে না পারিয়া দশযোজনাধিষ্ঠিত ভগবৎক্ষেত্রের বিপথগামী অধিবাসিগণ শুষ্কমৎস্যাদি-ভোজন-ব্যবহার-প্রথা অবাধে চালাইয়াছে। মৎস্যাদির গ্রহণ হইতে সন্ন্যাস গ্রহণ করিলে তাহাদের মুখে হরিনাম উচ্চারিত হইতে পারিবে। হবিষ্যান্ন সাত্ত্বিক গুণযুক্ত হইলেও নির্গুণ মহাপ্রসাদের সমান নহে। নির্গুণ মহাপ্রসাদ ও মহামহাপ্রসাদ সেবনে অমলা কৃষ্ণভক্তি হয়।