Normal view
Book Lang.: বাংলা
English
संस्कृता वाक्
Translation

শ্লোক 33

Language: বাংলা
Language: English Translation
  • যেমতে যাহারে কৃষ্ণচন্দ্র রাখে মারে।
    তাহা বই আর কেহ করিতে না পারে।

    জড়জগতে বিষের ক্রিয়ায় জীবের মৃত্যু ঘটে; আর অমৃত-সেবনে জীবের নিত্যজীবনপ্রাপ্তি ঘটে। কৃষ্ণেচ্ছাক্রমে জড়বস্তু ও চিদ্‌বস্তুসমূহ স্ব-স্ব ফল প্রদান করিতে সমর্থ হয়। কৃষ্ণেচ্ছা সেই সকল বস্তুতে তত্তদ্‌ধর্ম ও বৃত্তি তুলিয়া লইলে তাহারা আর উহা প্রদর্শন করিতে সমর্থ হয় না। উমা-মহেশ্বর-সংবাদই ইহার সাক্ষ্য ও প্রমাণ।।৩২।।

    সেবোম্মুখ হইয়াও অনেকে বৈষ্ণবাপরাধক্রমে ভগবজ্জনগণকে ভগবদ্বস্তু হইতে পৃথক্‌ দর্শনে দেখিতে গিয়া মর্ত্যবুদ্ধি করে। হরিগুরুবৈষ্ণবে মর্ত্যবুদ্ধি হইলে তাহাদিগের সচ্চিদানন্দ-প্রতীতি জড়ভোগোন্মত্ত জীবের দর্শনে লক্ষিত হয় না। তৎফলে তাহারা হরিগুরু বিদ্বেষ জ্ঞাতসারে ও অজ্ঞাতসারে, উভয়প্রকারে করিয়া ফেলে। কেহ বা দবুদ্ধি করিয়া কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করে, কেহ অন্যাভিলাষী হইয়া বুভুক্ষা ও মুমুক্ষাকেই নিজপ্রয়োজন মনে করে। কিন্তু তাহারা বুঝিতে পারে না যে, কৃষ্ণচন্দ্রের ইচ্ছার অনুকূলে গুরুবৈষ্ণবগণ তাহাদের ক্ষীণবুদ্ধি ধ্বংস করিতে সমর্থ। গুরুবৈষ্ণব —কৃষ্ণশক্তি-সম্পন্ন। শক্তি হইতে শক্তিমান্‌ অভেদ; আবার শক্তি কখনও কেবল শক্তিমান্ বলিয়া পরিচিত হইতে পারেন না—ইহাই কেবলাদ্বৈতীর সহিত ভগবদ্ভক্তের পার্থক্য। অচিন্ত্য-ভেদাভেদ বিচারের কিয়দংশ গ্রহণ করিয়াই বিশিষ্টাদ্বৈত-বিচার, শুদ্ধদ্বৈতবিচার ও শুদ্ধাদ্বৈতবিচার প্রভৃতি উৎপন্ন হইয়াছে। পূর্ণতাবিচারে পরম পূজ্য শ্রীরূপানুগবর্য শ্রীশ্রীলকৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী শ্রীচৈতন্যলীলা বর্ণন করিতে গিয়া “বন্দে গুরুনীশ” শ্লোকের বিচারে ও পঞ্চতত্ত্বের বর্ণনে সকল কথা সুষ্ঠুভাবে সেবোন্মুখ জনগণকে জানাইয়াছেন। শ্রীকৃষ্ণদাসের নিকট অপরাধিগণ ভাগবত-তাৎপর্য বুঝিতে না পারিয়া কেহ বা জড়ভেদবাদী, কেহ বা মায়াবাদী। মায়াবাদিগণ অভেদবিচারে শক্তি-বৈচিত্র্যের নিত্যত্ব বুঝিতে পারেন না; আবার ভেদবাদী কর্মী বহুদেবের উপাসনা করিতে গিয়া নরকযন্ত্রনায় পতিত হইয়া গুরুবৈষ্ণবকে কৃষ্ণ হইতে ভেদজ্ঞানে বিরোধ স্থাপন করেন।।৩৩।।

    তথ্য। রক্ষিতা যস্য ভগবান্ কল্যাণং তস্য সন্ততম্। স যস্য বিঘ্নকর্তা চ রক্ষিতুং তং চ কঃ ক্ষমঃ।। (নারদ পঞ্চরাত্র ১/১৪/৪)।

Page execution time: 0.0498740673065 sec