“অহে দণ্ড, আমি যাঁ’রে বহিয়ে হৃদয়ে।
সে তোমারে বহিবেক এ’ত যুক্ত নহে।
বিবৃতি। শ্রীগৌরসুন্দর দণ্ডগ্রহণ করা অবধি স্বীয় শ্রীমূর্তির সহিত দণ্ড রাখিতেন। সময়ে সময়ে জগদানন্দ প্রভু মহাপ্রভুর দণ্ড বহন করিয়া ভিক্ষা সংগ্রহ করিতেন। শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু জগদানন্দের নিকট হইতে দণ্ড সাবধানে রক্ষা করিবার ভার গ্রহণ পূর্বক দণ্ডকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন—“চতুদর্শ-ভুবনপতি শ্রীকৃষ্ণকে আমরা সর্বদা হৃদয়ে বহন করি; আমরা তাঁহার নিত্য ভৃত্য; তুমি আমাদের সেই নিত্য প্রভুকে বাহকরূপে সাজাইয়া অপরাধ করিতেছ। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ ভক্তভাব অঙ্গীকার করিয়া যে সকল বিধি-গ্রহণ বা নিষেধ-ত্যাগের চিহ্ন স্বীয় হস্তে ও স্কন্ধে স্থাপন করিয়াছেন, সেই বহনকার্য আমাদেরই শোভা পায়। হে দণ্ড, তুমি আমার প্রভুর প্রভু হইও না, তুমি আর তোমাকে মহাপ্রভুর দ্বারা বহন করাইও না।’’ প্রাকৃত সহজিয়া ভক্তব্রুবগণ কৃষ্ণের নিকট হইতে ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ প্রভৃতি বাঞ্ছা করিয়া তাঁহার দ্বারা সেবা করাইয়া আত্মেন্দ্রিয়-তর্পণ করে। ভক্তগণের ঐরূপ মনের ভাব নহে।