সবার করিবে গৌরসুন্দর উদ্ধার।
বিনা পাপী বৈষ্ণব-নিক দুরাচার।
বিবৃতি। অবৈষ্ণবগণ কেহ কেহ মনে করেন যে, বৈষ্ণবগণ তাহাদের ন্যায়ই পাপে লিপ্ত হইবার যোগ্য। পাপিগণকে যখন গৌরসুন্দর কোল দিয়াছেন, তখন তাহারা সেই পাপ সমর্থন করিবে না কেন? এবং যাবতীয় পাপসমর্থন-কারী ব্যক্তিই বৈষ্ণব গুরুর কার্য করিবে এখানে গ্রন্থকার বলিতেছেন যে, গৌরসুন্দর সকলেরই উদ্ধার করিবেন, কিন্তু বৈষ্ণবের নিন্দাকারী ও নামবলে পাপাচারী আচার ভ্রষ্ট জনগণের উদ্ধার কখনও করিবেন না। পাপের অনুমোদনকারী পাষণ্ডি গণ যতই কেন না আপনাদিগকে ‘বৈষ্ণব’ ‘গুরু’ প্রভৃতি বলিয়া মিছাভক্ত সাজুক, দুরাচার বৈষ্ণবনিন্দক পাণ্ডিগণের ‘আত্মবঞ্চনা ব্যতীত অন্য কোন সিদ্ধিলাভের সম্ভাবনা নাই। শ্রীচৈতন্যদেবের কৃপায় ভগবদ্বিদ্বেষী অসুরগণও অনুগ্রহ পাইয়াছে, কিন্তু ভক্তদ্বেষী পাষণ্ডী দুষ্কৃতপাপী কখনও গৌরসুন্দরের কৃপার উপর নির্ভর করিবে না, আত্মম্ভরী হইয়া আপনাকে গৌরভক্তব্ৰুব বলিয়া পরিচয় দিবে এবং নরকের পথের পথিক হইবে।