ঈশ্বরের চরিত্র বুঝিতে শক্তি কার।
কখন কিরূপে কৃষ্ণ করেন বিহার।
বিবৃতি। অর্বাচীন জনগণ রাঢ় দেশের শৃগাল-বাসুদেবকে ও বর্তমান সময়ের বঙ্গদেশস্থ নানা কর্মফলবাধ্য জীবগুলিকে ‘ঈশ্বর’ ‘বিশ্বশুরু’, ‘সমন্বয়াচার্য’, ‘যুগাচার্য’ প্রভৃতি নামে আরোপিত করিয়া যে মূঢ়তা দেখায়, উহা তাহাদের দুর্বল শক্তিরই পরিচয়। পঞ্চোপাসনা-মূলে যে নির্বিশেষবিচার, তৎফলেই কলিকালে মানবে দেবারোপবাদ ক্ৰমশঃ গজিয়া উঠিয়াছে। কিন্তু স্বয়ংরূপ কৃষ্ণচন্দ্র স্বীয় শ্রীচৈতন্যলীলা জীবের কৃষ্ণপ্রেম-বিতরণের জন্য প্রকট করিয়াছিলেন। তাঁহার অনুকরণে মানবে দেবারোপ চেষ্টা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় মাত্র। স্বয়ংরূপ কৃষ্ণচন্দ্ৰ কলুষিতচিত্ত জনগণকে তাঁহার উপদেশক-লীলাময়ী গৌরলীলার উপলব্ধি করিবার শক্তি দেন না। শ্রীনিত্যানন্দের অনুগ্রহ-ব্যতীত কাহারও শ্রীগৌরসুন্দরকে সেবা করিবার অধিকার নাই, বুঝিবার অধিকার নাই এবং কৃষ্ণপ্রেম পাইবারও অধিকার নাই।
তথ্য। ত্বং বৈ সমস্তপুরুষার্থময়ং ফলাত্মা যদ্বাঞ্ছয়া সুমতয়ো বিসৃজন্তি কৃৎস্নম্ । (ভাঃ ১০/৬০/৩৮) সত্যাশিষো হি ভগবংস্তব পাদপদ্মমাশীথানুভজতঃ পুরুষার্থমূর্তেঃ (ভাঃ ৪/৯/১৭) বরং বরয় ভদ্রং তে বরেশং মাভিবাঞ্ছিতম্। ব্রহ্মন্ শ্রেয়ঃ পরিশ্রামঃ পুংসাং মদ্দর্শনাবধিঃ।। (ভাঃ ২/৯/২০) কো বেত্তি ভূমন্ ভগবন্ পরাত্মন্ , যোগেশ্বরোতীৰ্ভবতস্ত্রিলোক্যাম্। ক্ব বা কথং বা কতি বা কদেতি, বিস্তারয়ন্ ক্রীড়সি যোগমায়াম্ ।। (ভাঃ ১০/১৪ /২১)।