আর কার্যে প্রভুর নাহিক অবসর।
নাম-গুণ বলেন শুনেন নিরন্তর।
শ্রীগৌরসুন্দর অন্য কথা বলিবার পরিবর্তে সর্বদা ভগবানের নাম, রূপ, গুণ ও লীলা প্রভৃতির প্রসঙ্গ শতমুখে বলিতে প্রবৃত্ত ছিলেন। কৃষ্ণের নাম, রূপ, গুণ, পরিকর-বৈশিষ্ট্য ও লীলার সর্বদা কথোপকথন ব্যতীত অন্যবিষয়ে তাঁহার মনোযোগ দিবার অবকাশ ছিল না।
শ্রীগদাধর পণ্ডিত শ্রীমদ্ভাগবত-ব্যাখ্যানে পরম নিপুণ ছিলেন। যে সকল ব্যক্তি অবান্তর উদ্দেশ্যের বশবর্তী হইয়া ভোজ্যাচ্ছাদন, গৃহ-পালন প্রভৃতি কার্যের উদ্দেশ্যে শ্রীমদ্ভাগবত পঠন-পাঠন করিয়া থাকেন, তাঁহাদের ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ—এই চতুর্বর্গের প্রয়োজন-লাভ-মুখেই সকল চেষ্টা। কিন্তু শ্রীগদাধরপণ্ডিতের শ্রীমদ্ভাগবত -পাঠ বা শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবণ- কীর্তন— চতুর্বর্গ লাভের প্রয়াসমূলক ছিল না।