“কৃষ্ণরে প্রভুরে আরে কৃষ্ণ মোর বাপ!”
বলিয়া রোদন করে সর্ব-জীবনাথ।
‘আরে’ স্থানে ‘ওরে’, ‘মোর’ স্থানে ‘ওরে’ ‘বলিয়া রোদন করে সর্বজীব-নাথ’ পাঠান্তরে ‘বলি সর্বজীব-নাথ করেন প্রলাপ’।
শ্রীগৌরসুন্দর রাঢ়দেশের এক সৌভাগ্যপূর্ণ গ্রামে বাস করিয়া রাত্র্যন্তে গ্রামের প্রান্তভাগে গমনপূর্বক কৃষ্ণবিরহকাতরতা প্রদর্শন করিতে লাগিলেন। কৃষ্ণই অখিলরসামৃতসিন্ধু; সুতরাং সকল রসের একমাত্র বিষয়। শ্রীগৌরসুন্দর স্বয়ংরূপ কৃষ্ণচন্দ্র হওয়ায় সর্বপ্রকার রসের আশ্রয়-লীলার অভিনয় করিতে পারেন; তজ্জন্য দাস্যলীলাপ্রকটনে কৃষ্ণকে ‘প্রভু’ বলিয়া তাঁহার সম্বোধন, বৎসল-রসে কৃষ্ণকে ‘বালগোপাল’ বলিয়া তাঁহার সম্বোধন এবং স্বীয় সেবা-চেষ্টা-জ্ঞাপক রোদন-বিরহ প্রভৃতি জীবকুলের শিক্ষার বিভিন্ন স্তর।