বালক অচ্যুতের মুখে সিদ্ধান্ত-কথা—
অচ্যুত বলেন—“তুমি দৈবে জীব-সখা।
সবাকার বাপ তুমি এই বেদে লেখা।
১৪৩১ শকাব্দায় যখন শ্রীগৌরসুন্দর শান্তিপুরে শ্রীঅদ্বৈতগৃহে গিয়াছিলেন, সেই -কালে অচ্যুতানন্দ পাঁচ-বৎসরের শিশুমাত্র ছিলেন। শ্রীঅচ্যুতানন্দ সম্ভবতঃ ১৪২৬ শকাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। সেই শিশু মহাপ্রভুকে বলিলেন—“তুমি জীবমাত্রেরই সখা, শ্রুতিশাস্ত্র তোমাকেই ‘আকর-বস্তু’ বলিয়া নির্ণয় করিয়াছেন।’’ ‘দ্বা সুপর্ণা সযুজা সখায়া’ এবং “যতো বা ইমানি ভূতানি জায়ন্তে” প্রভৃতি শ্ৰতিবচন-সমূহের উদ্দিষ্ট বস্ত্র বলিয়া শ্রীচৈতন্যকে নির্ণয় করিলেন।
তথ্য। দ্বা সুপর্ণা সযুজা সখায়া সমানং বৃক্ষং পরিষস্বজাতে। তয়োরন্যঃ পিপ্পলং স্বাদ্বত্ত্যনশ্নন্নন্যোঽভিচাকশীতি।। (মুণ্ডক ৩/১/১ শ্বেঃ ৪/৬-৭) ঘৌ সুপর্ণৌ ভবতো, ব্রহ্মাণোহংশভূত স্তথেতরো ভোক্তা ভবতি, অন্যো হি সাক্ষী ভবতীতি। (গোপালোত্তরতাপনি ১/১৮) সুপর্ণাবেতৌ সদৃশৌসখায়ৌ যদৃচ্ছয়ৈতৌ কৃতনীড়ৌ চ বৃক্ষে। একস্তয়োঃ খাদতি পিপ্পলান্নমন্যো নিরন্নোঽপি বলেন ভূয়ান।। (ভাঃ ১১/১১/৬) ন যস্য সখ্যং পুরুষোঽবৈতি সখ্যঃ সখা বসন্ সংবসতঃ পুরেঽস্মিন্ । গুণো যথা গুণিনো ব্যক্তদৃষ্টে তস্মৈ মহেশায় নমস্করোমি।। (৬/৪/২৪)।