শচী-জগন্নাথ-নন্দন শ্রীগৌর-নারায়ণ—
তান গর্ভে অবতীর্ণ হৈলা নারায়ণ॥
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য-নাম সংসার-ভূষণ ॥৯৪॥
তত্ত্ববৰ্ণনে গ্রন্থকার মহাপ্রভুর পিতা-মাতাকে ‘বসুদেব’ ও ‘দেবকী’ এবং প্রভুকে ‘নারায়ণ’ বলিয়াই অভিহিত করিয়াছেন। ঐশ্বর্য ও তত্ত্ববর্ণনে এইরূপ নির্দেশ দোষাবহ নহে; মাধুর্যাবস্থানের কথা অ-তাত্ত্বিক জগতে বিচারিত হইলে উদ্দেশ্যসিদ্ধি হয় না। গৃহে অবস্থানকালে শ্রীমন্মহাপ্রভুর ‘নিমাই’, ‘বিশ্বম্ভর’ প্রভৃতি নাম ছিল; সন্ন্যাসগ্রহণের পর তাঁহার নাম ‘কৃষ্ণচৈতন্য’ হইয়াছিল। বিশ্ববাসীক সেই কৃষ্ণনামে অনুপ্রাণিত করিয়া প্রভু তাঁহার ‘কৃষ্ণচৈতন্য’-নামের সার্থকতা প্রদর্শন করেন। আশ্রমবিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ চতুর্থ আশ্রমই ‘সন্ন্যাস’; তজ্জন্য যতি নামই এই সংসারের অলঙ্কার-স্বরূপ ॥৯৪॥