‘শেষখণ্ডে’—সন্ন্যাসিরূপে নীলাচলে স্থিতি।
নিত্যানন্দস্থানে সমর্পিয়া গৌড়-ক্ষিতি ॥৯১॥
গ্রন্থের খণ্ডত্রয়ের আদিখণ্ডে—মহাপ্রভুর ‘বিদ্যা-বিলাস’, মধ্যখণ্ডে,—‘কীর্তনবিলাস’ এবং শেষখণ্ডে—পুরুষোত্তমে ‘যতিবেশে অবস্থান-লীলা’ বর্ণিত হইয়াছে; তন্মধ্যে শ্রীগৌর সুন্দরের গৃহস্থলীলায় শ্রীগৌড়দেশবাসীকে কৃষ্ণকীর্তনোপদেশ প্রদান এবং সন্ন্যাসলীলায় উৎকলে শ্রীপুরুষোত্তমে অবস্থান পূর্বক স্বীয় ভক্তগণের পালন শুনা যায়। যেকালে তিনি গৌড়দেশে ভক্তিধর্ম প্রচার করিতেছিলেন, তৎকালে তাঁহার সাহায্যকারিরূপে শ্রীনিত্যানন্দপ্রভু ও শ্রীহরিদাস-ঠাকুর এবং অন্যান্য শুদ্ধভক্তগণ প্রচারকার্যে নিযুক্ত ছিলেন। নীলাচলে অবস্থানকালে শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর গৌড়দেশে প্রচারকার্যের নিমিত্ত শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুকেই প্রধান প্রচারকরূপে নিযুক্ত করিয়া ছিলেন। নীলাচলে অবস্থিত গৌড়ীয়ভক্তগণ শ্রীদামোদরস্বরূপ-গোস্বামি প্রভুরই অনুগত ছিলেন, আর গৌড়দেশবাসী ভক্তগণ শ্রীনিত্যানন্দ-প্রভুর অধিকারে থাকিয়াই নিরন্তর হরিভজন করিতেন। শ্রীক্ষেত্রমণ্ডলে শ্ৰীমন্মহাপ্রভু স্বয়ং প্রচারকগণের অগ্রণী হইয়াছিলেন, আর শ্রীগৌড়মণ্ডলে তিনি শ্রীনিত্যানন্দ-প্রভুকে প্রধান প্রচারক পদে অভিষিক্ত করিয়াছিলেন। শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু দ্বাদশজন প্রধান ভক্ত লইয়া গৌড়দেশের সর্বত্র প্রচারকার্যে নিযুক্ত ছিলেন। শ্রীব্রজমণ্ডলে প্রধান সেনাপতি শ্রীরূপ- সনাতন- গোস্বামি প্রভুদ্বয় পশ্চিমদেশের প্রচার-ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন ॥৯০-৯১॥