শ্রীঅনন্তের নিত্যবর্ধনশীল অপার কৃষ্ণগুণসমুদ্রোত্তরণ-চেষ্টা—
লাগ্ বলি’ চলি’ যায় সিন্ধু তরিবারে॥
যশের সিন্ধু না দেয় কূল, অধিক অধিক বাড়ে ॥৭১॥
লাগ, —নাগাল’, ‘নজ্দিক’, নিকটবর্তী।
বিবৃতি। যদিও নব-নব-ভাবে অনুক্ষণ বর্ধমান কৃষ্ণ যশঃসিন্ধু—সুদুস্তর অর্থাৎ অপার, তথাপি সেই সিন্ধু উত্তীর্ণ হইবার উদ্দেশ্যে অর্থাৎ কীর্তন করিয়া কৃষ্ণগুণরাশির অন্ত পাইবার জন্য শ্রীবলরাম বা অনন্তদেব দ্রুতবেগে (প্রবলভাবে) গমন (কীর্তনচেষ্টা প্রদর্শন) করেন। এস্থলে ‘সিন্ধু’-শব্দে কৃষ্ণযশঃসমুদ্র; শ্ৰীঅনন্তদেব স্বীয় সহস্র-মুখে গান করিয়া অপার কৃষ্ণযশঃসমুদ্রের তীরে উপনীত হইবেন অর্থাৎ শেষসীমা প্রাপ্ত হইবেন, মনে করেন; কিন্তু সেই অসীম অপার কৃষ্ণগুণ-সিন্ধুর কুল বা তটভূমি অর্থাৎ সীমারেখা ক্রমশঃ সুদুরবর্তী হইতে থাকে, সেইজন্য শ্রীঅনন্তদেবও পুনরায় বর্ধিতোৎসাহভরে শ্রীকৃষ্ণের অনন্ত যশোমাধুর্য স্বীয় সহস্রবদনে কীর্তন করিতে থাকেন॥ ৭১॥