সকল নিঃশ্রেয়সার্থী সাধকের একমাত্র আশ্ৰয়িতব্য শ্রীঅনন্তের নামাভাস-শ্রবণকীর্তনেই সর্বানৰ্থনাশ—
যন্নাম শ্রুতমনকীর্তয়েদকস্মাদ্।
আর্তো বা যদি পতিতঃ প্রলম্ভনাবা।
হন্ত্যংহঃ সপদি নৃণামশেষমন্যং
কং শেষাদ্ভগবত আশ্রয়েন্মুমুক্ষুঃ ॥৫৫॥
অন্বয়। যন্নাম (যস্য ভগবতঃ নাম সাধু-গুর্বাদিতঃ) শ্রুতং বা, অকস্মাৎ বা, আর্তঃ (ক্লিষ্ট) বা (সন্ প্রলম্ভনাৎ উপহাসাৎ বা পতিতঃ (মহাপাতকী জনঃ অপি) যদি অনুকীর্তয়েৎ, তর্হি, শ্রবণকারী, উচ্চারণকারী বা সর্বথা সংশুধ্যেৎ ইতি কিং বক্তব্যম্ ? যতঃ অসৌ শ্রীঅনন্তদেবঃ এব) নৃণাম্ (মানবানাং) অশেষম্ (অনন্তম) অংহঃ (পাপং) সপদি (সদ্যঃ এব) হন্তি (নাশয়তি) তস্মাৎ মুমুক্ষুঃ (নিঃশ্রেয়সার্থী জনঃ) ভগবতঃ শেষাৎ (শ্রীঅনন্তদেবাৎ অন্যং) কম্ আশ্রয়েৎ (শরণং ব্রজেৎ)?॥৫৫॥
অনুবাদ। (সাধুগুরুর মুখ হইতে) শ্রবণ করিয়া, অথবা অকস্মাৎ, অথবা আর্ত হইয়া, কিংবা পরিহাসচ্ছলে পতিত ব্যক্তিও যদি সেই শ্রীঅনন্তদেবের নাম কীর্তন করে, তাহা হইলে সেই শ্রবণ বা কীর্তনকারী ব্যক্তি যে শুদ্ধ হইবেনই, সে বিষয়ে আর বক্তব্য কি? কেননা, এই শ্ৰীঅনন্তদেবই স্বীয় দর্শনপ্রদানাদিদ্বারা মানবগণের অশেষ পাপরাশি বিনাশ করিয়া থাকেন; অতএব নিঃশ্রেয়সার্থী ব্যক্তি সেই ভগবান্ শ্রীশেষ ব্যতীত আর অপর কাহাকেই বা আশ্রয় করিবেন?॥৫৫॥