ব্রহ্মার সভায় শ্রীনারদের শ্রীশেষ-মাহাত্ম্য-কীর্তন —
শ্রীনারদ-গোসাঞি তুম্বুরু করি’ সঙ্গে।
সে যশ গায়েন ব্রহ্মা—স্থানে শ্লোকবন্ধে ॥৫২॥
‘তুম্বুরু’—দেবর্ষি শ্রীনারদের নিত্যসঙ্গী শ্রীহরি গুণগান সুপ্রসিদ্ধ ‘বীণা’ (পরবর্তী ৭৪ সংখ্যা দ্রষ্টব্য); অথবা স্বর্গায়ক গন্ধর্বপতিবিশেষ (ভাঃ ১/১৩/৬০ শ্লোক দ্রষ্টব্য)।
‘ব্ৰহ্মা-স্থানে’,—ব্রহ্মার ‘মানসী’-সভায়; তথায় তুম্বুরু প্রভৃতি গন্ধর্বগণের সঙ্গীতালাপ, (যথা, মহাঃ ভাঃ—সভা-পঃ ১১ শ অঃ শ্রীনারদকর্তৃক যুধিষ্ঠিরের নিকট ব্রহ্ম-সভা-বৰ্ণন প্রসঙ্গে ২৮ শ্লোকের শ্রীনীলকণ্ঠ-টীকা—) “অন্যে তু বিংশতি গন্ধর্বাপ্সরসাং গণাঃ সপ্ত চান্যে গন্ধর্বা মুখ্যান্তে চ—‘হংসো হাহ হুহূবিশ্বাবসুরুচিস্তথা। বৃষণস্তুম্বুরুশ্বৈব গন্ধর্বাঃ সপ্তকীর্তিতাঃ ॥’’ ইতি।‘
শ্লোকবন্ধে,—শ্লোক বাঁধিয়া অর্থাৎ রচনাপূর্বক। এই পদ্যটী—(ভাঃ ৫/২৫/৮) “তস্যানুভাবান্ ভগবান্ স্বায়ম্ভবো নারদঃ সহ তুম্বুরুণা সভায়াং ব্ৰহ্মণঃ সংশ্লোকয়ামাস’’, এই শ্লোকের পদ্যানুবাদ মাত্র॥৫২॥