Normal view
Book Lang.: বাংলা
English
संस्कृता वाक्
Translation

শ্লোক ৪৩

Language: বাংলা
Language: English Translation
  • প্রভু-দাস-সম্বন্ধযুক্ত হইয়া একই বিষয়-বিগ্রহের অবতার-লীলার সহায়তা

    মূর্তিভেদে আপনে হয়েন প্রভু-দাস
    সে-সব লক্ষণ অবতারেই প্রকাশ ৪৩

    পাঠকের বোধ-সৌকর্যার্থ শ্রীকবিরাজ গোস্বামি-বাক্যের পুনরুল্লেখ করা যাইতেছে, যথা- চৈঃ চঃ আদি ৫ম পঃ ৪-৫, ৮ ১১, ৪৫-৪৬, ৪৮, ৭৩-৭৪, ৭৬, ‘৮০-৮১, ১১৩, ১১৫-১১৭, ১২০-১২১,১২৩-১২৫, ১৩৪-১৩৫, ১৩৭ ও ১৫২৬ সংখ্যায় —) “সর্বাবতারী কৃষ্ণ—স্বয়ং ভগবান্‌। তাঁহার দ্বিতীয় দেহ—শ্রীবলরাম॥ একই স্বরূপ দোঁহে,—ভিন্নমাত্র কায়। আদ্য কায়্যুবূহ, কৃষ্ণলীলার সহায়॥... শ্রীবলরাম গোসাঞি—মূলসংকর্ষণ। পঞ্চরূপ ধরি’ করেন কৃষ্ণের সেবন॥ আপনে করেন কৃষ্ণলীলার সহায়। সৃষ্টিলীলা-কার্য করেন ধরি’ চারি কায় ॥ সৃষ্ট্যাদিক সেবা, তাঁর আজ্ঞার পালন।‘শেষ’-রূপে করেন কৃষ্ণের বিবিধ সেবন॥ সর্বরূপে আস্বাদয়ে কৃষ্ণসেবানন্দ। সেই বলরাম- গৌর সঙ্গে নিত্যানন্দ॥... জীব-নামক তটস্থাখ্য এক শক্তি হয়। মহাসংকর্ষণ সর্বজীবের আশ্রয়॥ যাঁহা যৈতে বিশ্বোৎপত্তি, যাহাতে প্রলয়। সেই পুরুষের —সংকর্ষণ সমাশ্রয়॥’’ ... তুরীয়, বিশুদ্ধ সত্ত্ব সংকর্ষণ-নাম। তেঁহো যাঁর অংশী, সেই নিত্যানন্দ রাম ॥..গোবিন্দের প্রতিমূর্তি-শ্রীবলরাম॥ তাঁর এক স্বরূপ—শ্রীমহাসংকর্ষণ। তাঁর অংশ ‘পুরুষ’ হয় কলাতে গণন॥...গর্ভোদ-ক্ষীরোদশায়ী, দোঁহে—‘পুরুষ’-নাম। সেই দুই-যাঁর অংশ, বিষ্ণু, বিশ্বধাম॥... সেই পুরুষ-সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের কর্তা। নানা অবতার করে, জগতের ভর্তা॥ সৃষ্ট্যাদি নিমিত্ত যেই অংশের অবধান। সেই ত’ অংশের কহি ‘অবতার’-নাম॥... যুগ-মন্বন্তরে ধরি’ নানা অবতার। ধর্ম স্থাপন করে, অধর্ম-সংহার॥ ... তবে ‘অবতরি’ করেন জগৎ-পালন। অনন্ত বৈভব তাঁর নাহিক গণন॥ সেই বিষ্ণু হন যাঁর অংশাংশের অংশ। সেই প্রভু নিত্যানন্দ—সর্ব-অবতংস । সেই বিষ্ণুঃ “শেষ’-রূপে ধরেন ধরণী। কাঁহা আছে মহী, শিরে—হেন নাহি জানি॥... সেই ত’ ‘অনন্ত’ ‘শেষ’-ভক্ত-অবতার। ঈশ্বরের সেবা বিনা নাহি জানে আর॥ সহস্র-বদনে করে কৃষ্ণগুণগান। নিরবধি গুণ গা’ন অন্ত নাহি পা’ন॥... ছত্র, পাদুকা, শয্যা, উপাধান, বসন, ভূষণ। আরাম, আবাস, যজ্ঞসূত্র, সিংহাসন॥ এত মূর্তি ভেদ করি’ কৃষ্ণসেবা করে। কৃষ্ণের ‘শেষতা’ পাঞা ‘শেষ’-নাম ধরে॥ সেই ত’ অনন্ত যাঁর কহি এক ‘কলা’। হেন প্রভু নিত্যানন্দ, কে জানে তাঁর খেলা ? ...এইরূপে নিত্যানন্দ—অনন্ত প্রকাশ। সেইভাবে কহি মুঞি ‘চৈতন্যের দাস’॥ কভু গুরু, কভু সখা, কভু ভৃত্য-লীলা। পূর্বে যৈছে তিনভাবে ব্রজে কৈলা খেলা॥... আপনারে ভূত’ করি’ কৃষ্ণে ‘প্রভু জানে। কৃষ্ণের ‘কলার কলা’ আপনাকে মানে॥... শ্রীচৈতন্য—সেই কৃষ্ণ, নিত্যানন্দ-রাম। নিত্যানন্দ পূর্ণ করে চৈতন্যের কাম।’’

    পাঠান্তরে,—‘সে সব লক্ষ্মণ-অবতারেই প্রকাশ; (যথা চৈঃ চঃ আদি ৫ম পঃ ১৪৯ ১৫৪ সংখ্যা) “নিত্যানন্দস্বরূপ পূর্বে ইঞা লক্ষ্মণ । লঘুভ্রাতা হা করে রামের সেবন ॥ রামের চরিত্র সব দুঃখের কারণ। স্বতন্ত্র-লীলার দুঃখ সহেন লক্ষ্মণ॥ নিষেধ করিতে নারে, যাতে ‘ছোট ভাই। মৌন ধরি’ রহেন লক্ষ্মণ, মনে দুঃখ পাই’ ॥ কৃষ্ণ অবতারে জ্যেষ্ঠ হৈলা সেবার কারণ। কৃষ্ণকে করাইলা নানা সুখ-আস্বাদন॥ রাম-লক্ষ্মণ-কৃষ্ণ-রামের অংশবিশেষ। অবতার কালে দোঁহার দোঁহাতে প্রবেশ ॥ সেই অংশ লঞা জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠাভিমান। অংশাংশীরূপে শাস্ত্রে করয়ে ব্যাখ্যান॥৪৩॥

Page execution time: 0.0593199729919 sec