উভয়ের নিখিল-প্রাণীর হৃৎকর্ণ-রসায়ন সঙ্গীতালাপ—
জগতুঃ সৰ্ব্বভূতানাং মনঃশ্রবণমঙ্গলম্।
তৌ কল্পয়ন্তৌ যুগপৎ স্বরমণ্ডলমূর্চ্ছিতম্॥৩৭॥
অন্বয়। (তৌ রামকৃষ্ণৌ) স্বরমণ্ডলমূর্চ্ছিতং (স্বরমণ্ডলস্য স্বরণোং মণ্ডলং সমূহঃ তস্য মূর্চ্ছনাং) যুগপৎ (একদা) কল্পয়ন্তৌ (কর্বন্তৌ ) সর্বভূতানাং সর্বপ্রাণিনাং, শ্রোতৃণামিত্যর্থঃ মনঃশ্রবণমঙ্গলং(মনসঃ শ্রবণস্য শ্ৰোত্ৰশ্য চ মঙ্গলং সুখং যথা ভবতি, তথা) জগতুঃ। ‘অগায়তাম্)॥৩৭।
অনুবাদ। শ্রীগোবিন্দ ও বলরাম, উভয়েই যুগপৎ অর্থাৎ একইকালে সুরগ্রামের মুর্ছনা আলাপ করিতে করিতে নিখিল প্রাণীর সুখপ্রদ গান করিতে লাগিলেন। ৩৭॥
তথ্য। স্বরমণ্ডলমুর্চ্ছিতং,—উহার লক্ষণ, যথা ‘সঙ্গীতসারে’’—“ক্ৰমাৎ স্বরাণাং সপ্তানামারোহশ্চাবরোহণম্। মূর্ছনেত্যুচ্যতে গ্রাম-ত্রয়ে তা একবংশতিঃ॥’’ (—শ্রীজীব প্রভু-কৃত ‘লঘুতোষণী’) ॥ ৩৭ ॥