দুন্দুভিনাদ ও কুসুম-বর্ষণ—
নেদুর্দুন্দুভয়ো ব্যোম্নি ববৃষুঃ কুসুমৈর্মুদা।
গন্ধৰ্ব্বা মুনয়ো রামং তদ্বীর্য্যেরীড়িরে তদা ॥২৮॥
অন্বয়। ব্যোন্নি (অন্তরীক্ষে) দুন্দুভয়ঃ নেদুঃ (দুন্দুভিধ্বনিরভবৎ, বিবক্ষয়া কর্তরি,—দেবাঃ দুন্দভীন্ বাদয়ামাস ইত্যর্থঃ; ‘দেবা’? ইত্যধ্যাহারঃ) কুসুমেঃ (পুষ্পৈ) মুদা (হর্ষেণ) ববৃষুঃ (বর্ষণং চক্রুঃ); গন্ধর্বা মুনয়ঃ (চ) তদ্বীর্যৈ (তস্য রামস্য বীর্যপ্রকাশকৈঃ বচোভিঃ) রামম্ ঈড়িরে (তুষ্টুবুঃ) ॥২৮॥
অনুবাদ। ঐ সময়ে অন্তরীক্ষে দুন্দুভিনিনাদ হইতে লাগিল, দেবগণ সহর্ষে কুসুমবৃষ্টি করিতে লাগিলেন এবং গন্ধর্ব ও মুনিবৃন্দ শ্রীবলভদ্রের বিক্ৰমসূচক স্তবদ্বারা তাঁহার পূজা করিতে আরম্ভ করিলেন॥২৮॥
তথ্য। পাঠান্তরে ‘উপগীয়মান উদ্গায়ন’ এবং ‘মাহেন্দ্রা বারণে যথা’ । ২৭শ ও ২৮শ সংখ্যার শ্লোকদ্বয় শ্রীধরস্বামিপাদ, শ্রীসনাতন গোস্বামী, শ্রীজীব-গোস্বামী বা শ্রীবিশ্বনাথ-
চক্রবর্তিঠাকুর স্ব-স্ব-টীকায় ব্যাখ্যা না করায়, বোধ হয়, কোন মুদ্রিত শ্রীমদ্ভাগবতে উহাদের উল্লেখ নাই। তবে শ্রীরামানুজ-সম্প্রদায়ী শ্ৰীবীররাঘবাচার্য স্ব-কৃত ‘ভাগবতচন্দ্রচন্দ্রিকা’-টীকায় ও শ্রীমাধ্বসম্প্রদায়ী শ্রীবিজয়-ধ্বজতীর্থ স্ব-কৃত ‘পদরত্নাবলী’-টীকায় উহাদের ব্যাখ্যা করিয়াছেন, দেখিতে পাওয়া যায় ॥