Normal view
Book Lang.: বাংলা
English
संस्कृता वाक्
Translation

শ্লোক ২০

Language: বাংলা
Language: English Translation
  • ইলাবৃতবর্ষেরুদ্রাণী ও স্ত্রীসেবিকাগণসহ রুদ্রের সঙ্কর্ষণ পূজা

    পার্ব্বতী প্রভৃতি নবাবুদ নারী লঞা
    সঙ্কৰ্ষণ পূজে শিব, উপাসক ইঞা ২০

    সঙ্কর্ষণ,ভাঃ ৫।২৫।১ম শ্লোকে পরীক্ষিতের প্রতি শ্ৰীশুকদেবের উক্তি)—“সাত্বতীয়া দ্রষ্টৃদৃশ্যয়া সঙ্কর্ষণমহমিত্যভিমান লক্ষণং যং সঙ্কর্ষণ ইত্যাচক্ষতে।’’ ইহার শ্রীস্বামিকৃত ‘ভাবার্থদীপিকা-টীকা দ্রষ্টব্য। (ভাঃ ১০/২/১৩ শ্লোকে যোগমায়ার প্রতি ভগবানের উক্তি—) “গর্ভসঙ্কৰ্ষণাৎ তং বৈ প্রাহুঃ সঙ্কর্ষণং ভুবি’’ অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণেচ্ছায় যোগমায়া দেবকীর গর্ভ আকর্ষণপূর্বক রোহিণীর উদরে সন্নিবিষ্ট করায় ঐ গর্ভে আবির্ভূত পরমেশ্বরকে লোকে ‘মূল-সঙ্কর্ষণ’-নামে অভিহিত করিয়া থাকে।

    (ভাঃ ৫|১৭|১৬)–“ভবানীনাথৈঃ স্ত্রীগণার্বুদ-সহস্রৈরব রুধ্যমানো ভগবতশ্চতুর্মূর্তের্মহাপুরুষস্য তুরীয়াং তামসীং মূর্তিং প্রকৃতিমাত্মনঃ ‘সঙ্কর্ষণ’-সংজ্ঞামাত্মসমাধিরূপেণ সন্নিধাপ্যৈতদভিগৃণন্‌ ভব উপধাবতি।’’

    পরব্যোমপতি ভগবান্‌ শ্রীনারায়ণের বাসুদেব, সঙ্কৰ্ষণ, প্রদ্যুম্ন ও অনিরুদ্ধ—এই চারিটা মূর্তির মধ্যে সঙ্কৰ্ষণ-মূর্তিটীও কারণ, হিরণ্যগর্ভ ও বিরাট,—এই উপাধিত্রয়ের অতীত শুদ্ধচিন্ময়ী হইলেও জগৎসংহার প্রভৃতি তামসিক কার্যের কারণ বলিয়া ঐ মূর্তিকে ব্যবহারতঃ ‘তামসী’ বলা যায়। ভগবান্ ভব ভগবতী ভবানীর সহস্র অর্বুদ পরিচারিকার সহিত সেই মূর্তিকে আপনার অংশী বা মূলকারণ জানিয়া তাঁহাতে চিত্তসন্নিবেশ-পূৰ্বক যে মন্ত্র জপ করিতে করিতে উপাসনা করেন, তাহা ভাঃ ৫/১৭/১৭ ২৪ শ্লোকে দ্রষ্টব্য। ভাঃ ৫/১৭/১৬ শ্লোকের শ্রীমধ্বকৃত ‘ভাগবত তাৎপর্য’—“পূজ্যতে গিরিশেনেশ ইলাবৃতগতেন তু। জীবব্যপেক্ষয়া চৈব তথান্তর্যাম্যপেক্ষয়া ॥’’

    বৃহদ্ভাগবত্রামৃতে (১ম খঃ ২য় অঃ ৯৭-৯৮ ও ১ম খঃ ৩য় অঃ ১ম এবং ২য় খঃ ৩য় অঃ ৬৬ শ্লোকে—) “সমানমহিমশ্রীমৎপরিবারগণাবৃতঃ মহাবিভূতিমান্‌ ভাতি সৎপরিচ্ছদমণ্ডিতঃ॥ শ্রীমৎসঙ্কর্ষণং স্বম্মাদভিন্নং তত্র সোঽচয়ন্‌। নিজেষ্ট-দেবতাত্বেন কিংবা নাতনুতেঽদ্ভুতম্‌ ॥ “ভগবন্তং হরং তত্র ভাবাবিষ্টতয়া হরেঃ । নৃত্যন্তং কীর্তয়ন্তঞ্চ কৃত সঙ্কর্ষণার্চনম্‌॥’’ ** “ভগবন্তং সহস্রাস্যং শেষমূর্তিং নিজপ্রিয়ম্। নিত্যমৰ্চয়তি প্রেম্‌ণা দাসবজ্জগদীশ্বরঃ॥’’

    অর্থাৎ আত্মসম-মহিমান্বিত পরমশোভাশালী পরিষদবর্গে পরিবৃত ও মহাবিভূতিযুক্ত সুন্দর ছত্ৰ-চামরাদি পরিচ্ছদদ্বারা মণ্ডিত, আপনা হইতে অভিন্ন অর্থাৎ স্বীয় অন্তর্যামী শ্রীমৎসঙ্কর্ষণদেবের পূজায় রত হইয়া গিরীশ সেইস্থানে (স্বীয়লোকে) বিরাজ করিতেছেন। তিনি তথায় সঙ্কর্ষণদেবকে স্বীয় অভীষ্টদেবতারূপে বরণ করিয়া তাঁহার পূজাবিধানপূর্বক কি অত্যদ্ভুত মহিমাই না বিস্তার করিতেছেন! ( দেবর্ষি নারদ) সেই স্থানে (শিবলোকে) শ্রীমৎসঙ্কর্যণদেবের অর্চনরত, তদীয়ভাবে আবিষ্ট হইয়া নৃত্যপরায়ণ ও কীর্তনমত্ত মহৈশ্বর্যশালী মহাদেবকে (দর্শন করিলেন)। মহাদেব জগতের ঈশ্বর হইলেও দাসের ন্যায়ই নিত্যকাল প্রেমসহকারে সহস্ৰবদন শেষমূর্তি শ্রীভগবানের পূজা করিয়া থাকেন।

    লঘুভাগবতামৃতে (পূঃ খঃ লীলাবতারবর্ণনপ্রসঙ্গে ৮৮-৮৮ সংখ্যায়—“সঙ্কর্ষণো দ্বিতীয়ো যো ব্যুহো রামঃ স এব হি। পৃথ্বীধরেণ শেষেণ সংভূয় ব্যক্তিমীয়িবান্॥ শেষো দ্বিধা মহিধারী শয্যারূপশ্চ শার্ঙ্গিণঃ। তত্র সঙ্কৰ্ষণাবেশদ্‌ ভূভৃৎ সঙ্কর্ষণে। মতঃ॥’’ পুনরায় (ঐ প্রাভববর্ণন-প্রসঙ্গে ৬২ সংখ্যায়)—“এতস্যৈবাংশভূতোঽয়ং পাতালে বসতি স্বয়ম্। নিত্যং তালধ্বজো বাগ্মী বনমালাবিভূষিতঃ। ধারয়ন্‌ শিরসা নিত্যং রত্নচিত্ৰাং ফণাবলীম্॥’’ পুনরায়, (ঐ মহাবস্থ-নামক চতুৰ্ব্যূহবর্ণন-প্রসঙ্গে ১৬৭ সংখ্যায়—) “নিজাংশো যস্য ভগবান্ শ্রীলঙ্কৰ্ষণ ইষ্যতে যস্তু সঙ্কর্ষণো ব্যুহো দ্বিতীয় ইতি সন্মতঃ। জীবশ্চ স্যাৎ সর্বজীব প্রাদুর্ভাবাস্পদত্বতঃ॥’’

    অর্থাৎ “যিনি গোলোকে ‘সঙ্কর্ষণ’-নামক দ্বিতীয় ব্যূহ, তিনিই ভূধারী শেষের সহিত মিলিত হইয়া শ্রীবলরাম (লীলাবতার) রূপে প্রকাশ পাইয়াছে। ‘ভূধারী’ ও সমগ্র বিষ্ণুতত্ত্বের ‘শয্যা’-রূপ-ভেদে ‘শেষ’—দ্বিবিধ;  তম্মধ্যে ভূধারী ‘শেষ’ —সঙ্কর্ষণের আবেশাবতার বলিয় তিনিও ‘সঙ্কর্ষণ’-নামে কথিত।’’ **এই মূলসঙ্কর্ষণ বলদেবেরই অংশভূত সঙ্কর্ষণ পাতালে বাস করিতেছেন; ইনি—তালধ্বজ, বাগ্মী অর্থাৎ চতুঃসনের নিকট শ্রীমদ্ভাগবত ব্যাখ্যাতা বনমালী এবং রত্নোজ্জ্বলা-ফণাধারী।’’ * “শ্রীসঙ্কর্ষণ—চতুর্ব্যূহের অন্তর্গত প্রথম ব্যুহ শ্রীবাসুদেবেরই বিলাসবিগ্রহ; তিনি চতুর্ব্যূহের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যূহ এবং সমগ্রজীবের প্রাকট্যের কারণ বলিয়া তিনি ‘জীব’-নামেও কথিত হ’ন"।

Page execution time: 0.0364191532135 sec