তৎপ্রতি সঙ্কর্ষণের সেবকদম্পতি শিবদূর্গার সন্তোষ; কৃষ্ণকীর্তনে তাঁহার যোগ্যতা-লাভ —
মহাপ্রীত হয় তাঁরে মহেশ-পার্বতী।
জিহ্বায় স্ফুরয়ে তাঁর শুদ্ধা সরস্বতী ॥১৯॥
রুদ্রের অন্তর্যামী—শ্ৰীসঙ্কৰ্ষণপ্রভু। পার্বতী প্রভৃতির সহিত মহেশ শ্ৰীসঙ্কৰ্ষণপ্রভুকে নিজ অভীষ্টদেবতা-জ্ঞানে নিত্যকাল স্তবাদিদ্বারা আরাধনা করেন,—ভাঃ ৫/১৭/১৬-২৪ দ্রষ্টব্য। অতএব যিনি মূলসঙ্কর্ষণ শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর চরিত্র শ্রবণ বা কীর্তন করেন, মহেশ ও পার্বতী স্বীয় আরাধ্য দেবতার সেবক-জ্ঞানে তাঁহার প্রতি মহাসন্তুষ্ট হ’ন।
সেই বলদেবপ্রভু—একান্তভাবে অনুক্ষণ কৃষ্ণানন্দ বর্ধনকারী। তাহার আনুগত্যরত সেবোন্মুখজীবের শুদ্ধসত্ত্বময়ী সেবোন্মুখী জিহ্বায় উচ্চারিত কৃষ্ণসেবাতাৎপর্যময়ী বাণীই ‘শুদ্ধা সরস্বতী’; আর নিত্যানন্দ-বলদেবানুগত্য পরিত্যাগপূর্বক জীবের যে কৃষ্ণতোষণ তাৎপর্যশূন্যা জড়েন্দ্রিয়তোষণপরা ইতর-বাণী, তাহাই ‘অসতী’ বা ‘দুষ্টা সরস্বতী’ নামে প্রসিদ্ধা।