শ্রীনিত্যানন্দপ্রভু শ্রীচৈতন্য যশঃকীর্তন প্রমত্ত—
হলধর-মহাপ্রভু প্রকাণ্ড শরীর।
চৈতন্যচন্দ্রের যশোমত্ত মহাধীর ॥১৬॥
‘মহাপ্রভু’,—যদিও চৈঃ চঃ আদি ৭ম পঃ ১৪ সংখ্যা- “এক মহাপ্রভু আর প্রভু দুইজন। দুই প্রভু সেবে মহাপ্রভুর চরণ॥’’ লিখিত আছে, তথাপি স্বয়ংরূপ ভগবান্ শ্রীগৌর-কৃষ্ণের স্বয়ংপ্রকাশ শ্রীহলধর-বলদেব-প্রভুই সন্ধিনীশক্তিমদ্বিগ্রহ মূলসঙ্কর্ষণ এবং জীববৃন্দের প্রভুস্বরূপ সমগ্র বিষ্ণুতত্ত্বের মূল আকরস্থানীয় প্রভু; এজন্যই তাঁহার একান্ত আশ্রিতসেবক শ্রীগ্রন্থকার এস্থলে তাঁহারই অংশকলাস্বরূপ শ্রীশেষকে তদভিন্নবিগ্রহ-জ্ঞানে ‘মহাপ্রভু’-আখ্যায় অভিহিত করিয়াছেন; সুতরাং তাহা সিদ্ধান্ত সঙ্গতই হইয়াছে॥
প্রকাণ্ড শরীর,-চৈঃ চঃ আদি ৫ ম পঃ ১১৯ সংখ্যায়—“পঞ্চাশৎকোটিযোজন পৃথিবী বিস্তার। যাঁর একফণে রহে সর্ষপাকার।’’
(ভাঃ ৬/১৬/৩৭ শ্লোকে শ্রীসঙ্কর্ষণের প্রতি চিত্রকেতুর স্তব-) “যত্র পতত্যণুকল্পঃ সহাণ্ডকোটি-কোটিভিস্তদনন্তঃ’’ অর্থাৎ কোটি কোটি ব্রহ্মাণ্ড আপনাতে পরমাণুবৎ পরিভ্রমণ করিতেছে, সেইজন্যই আপনি—‘অনন্ত’; ১৫ শ সংখ্যায় উদ্ধৃত ভাঃ ৫/১৭/২১, ৫ /২৫/২ ও ৬/১৬/৪৮ শ্লোক দ্রষ্টব্য।
পাঠান্তরে —‘চৈতন্যচন্দ্রের রসে মত্ত মহাধীর’ ।