(৭) সার্বভৌমোদ্ধার ও (৮) সার্বভৌমকে ষড়্ভুজ-প্রদর্শন—
সার্বভৌম-প্রতি আগে করি’ পরিহাস।
শেষে সার্বভৌমেরে ষড়্ভূজ-পরকাশ ॥
মনোধর্মী মুমুক্ষুর বিচারাবলম্বনে যে শারীরক-সূত্ৰ-ব্যাখ্যা, তাহা হাসিয়া উড়াইয়া দিবার বিষয় হইলেও মহাপ্রভু স্বীয় মাতামহ নীলাম্বর চক্রবর্তীর সতীর্থ বাসুদেব সার্বভৌমের নিকট উহার ব্যাখ্যা শ্রবণপূর্বক বালচাপল্যের সহিত পরিহাস করিয়াছিলেন; পরে তাঁহাকে কৃপা করিয়া স্বীয় রামলীলার ভুজদ্বয়, কৃষ্ণলীলার ভুজদ্বয় ও গৌরলীলার ভুজদ্বয় তত্তদুচিত অস্ত্রাদির সহিত প্রদর্শন করিয়াছিলেন। বাসুদেব-সার্বভৌম-নবদ্বীপের প্রসিদ্ধ নৈয়ায়িক ও বৈদান্তিক ছিলেন; শেষজীবনে তিনি ক্ষেত্রসন্ন্যাস করিয়া পত্নীসহ শ্রীপুরুষোত্তমে বাস করেন। তিনি মহেশ্বর-বিশারদের পুত্র ও গোপীনাথ আচার্যের শ্যালক ছিলেন।